× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘ব্যাট-বল হাতে নিতে না পারা ভীষণ কষ্টের’ / ‘দ্য টেস্ট’ দেখে সময় কাটছে আরিফুলের

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
৫ এপ্রিল ২০২০, রবিবার

২০১৮ সাল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপটাউন টেস্টের তৃতীয় দিনে বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারির জন্ম দিলেন তিন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার আর ক্যামেরন বেনক্রফট। ঝড় বয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে। তিনজনকেই নিষিদ্ধ করা হলো। নেতৃত্বে পরিবর্তন আসলো। ‘স্যান্ডপেপারগেট’ কেলেঙ্কারির ধাক্কা কাটিয়ে ধীরে ধীরে কীভাবে ঘুরে দাঁড়ালো অজিরা সেটাই ফুটে উঠেছে ‘দ্য টেস্ট’ ডকুমেন্টারিতে।

জাস্টিন ল্যাঙ্গারের কান্নাজড়িত বিবরণীতে ফুটে ওঠে কেপটাউনের ঘটনা অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটকে কতটা বিপর্যয়ে ঠেলে দিয়েছিল। তা কাটিয়ে উঠতে দায়িত্ব নিতে হয় ল্যাঙ্গারকেই। হেডকোচের দায়িত্ব পেয়ে কেলেঙ্কারির নায়ক স্মিথ, ওর্য়ানারবিহীন দলটাকে অনুপ্রাণিত করা আর তাদের হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার কাজে মনোযোগী হন ল্যাঙ্গার।

নিজের প্রথম অ্যাসাইমেন্টে সামনে পেলেন ইংল্যান্ডেকে। শুরুতে হোঁচট খেলেও ধীরে ধীরে ফের অজি ক্রিকেট দেখলো আলোর পথ। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সেই ডকুমেন্টারি দেখেই কাটছে বাংলাদেশ জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া আরিফুল হকের সময়। ইউটিউবে দেখছেন নিজের ব্যাটিংও। করোনা ভাইরাস আতঙ্কে রংপুরের নিজ বাড়িতে ২০ দিন ধরে বন্দি এই অলরাউন্ডার। তিনি বলেন, ‘‘কী করবো! ভয়ে বাসা থেকে বের হচ্ছি না। কিন্তু একটা দিন ব্যাট-বল হাতে নিতে না পারা যে কী কষ্টের, তা বলে বোঝাতে পারবো না। বাসায় জিম করি, আর ইউটিউবে নিজের ভিডিও দেখি। দেখছি ‘দ্য টেস্ট’ ডকুমেন্টারি। সেখানে ল্যাঙ্গার কীভাবে বিধ্বস্ত দলকে আত্মবিশ্বাসী করলো তা থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।’’

টেস্ট-ওয়ানডে-টি-টোয়েন্টি তিন ফরম্যাটেই জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছে আরিফুল হকের। কিন্তু মাঠে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পাননি তিনি। ২ টেস্ট, ১ ওয়ানডের সঙ্গে খেলেছেন ৯ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। ২০১৮ তে জাতীয় দলে সুযোগ আসার পর থেকেই বেশিরভাগ সময় মাঠের বাইরেই বসে থাকতে হয়েছে। এরপর গেল দুই বছর আর কোন সুযোগ আসেনি। কেন? আরিফুল অকপটে স্বীকার করে নিলেন বাজে পারফরম্যান্সের কারণেই এমনটা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটা সত্য জাতীয় দলে সঙ্গে থাকলেও মাঠে পর্যাপ্ত সুযোগ আসেনি খেলার। কিন্তু তাই বলে আমি অজুহাত দেবো না। আমি বলবো, হয়তো আমার পারফরম্যান্স নির্বাচকদের নজর কাড়তে পারেনি। তাই তারা আমার কথা ভাবেনি। সত্যি কথা বলতে আমি এখন নিজের পাফরম্যান্স নিয়েই ভাবছি। কীভাবে উন্নতি করা যায়। আমি জানি, এমন পাফরম্যান্স করতে হবে যেন তারা আমাকে নিতে বাধ্য হয়। এটি ছাড়া কোনো উপায় নেই।’

ঘরোয়া ক্রিকেট এখন স্থগিত। সেখানে পারফরম্যান্স করে যে নজর কাড়বে নির্বাচকদের তা সম্ভব নয়। তবে আরিফুলের বিশ্বাস সবকিছু দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে। তিনিও মাঠে ফিরবেন দারুণ কিছু করার প্রত্যয় নিয়ে। আরিফুল বলেন, ‘ঢাকা লীগে সুযোগ ছিল পারফরম্যান্স করে নিজেকে প্রমাণ করার। কিন্তু এখন দেশের যা পরিস্থিতি কবে মাঠে খোলা গড়ায় ঠিক নেই। তবে আশা ছাড়িনি। আল্লাহ চাইলে সব ঠিক হবে একদিন। আমরা মাঠে ফিরতে পারবো। সত্যিই খুব কঠিন সময় পার করছি। মাঠে যাওয়ার উপায় নেই। ২০ দিন ধরে বাসায় বন্দি হয়ে আছি। এমন ক্রিকেটহীন সময় জীবনে আর আসেনি। তবে বিশ্বাস করি ফিরতে পারলে নতুন করেই শুরু করবো।’

তবুও পাশে দাঁড়িয়েছেন ৫০ পরিবারের
আতঙ্কে বাসা থেকে বের হওয়ার ভয় ছিল। কিন্তু সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়াতে দ্বিধাবোধ করেননি আরিফুল। রংপুরের কর্মহীন দরিদ্র ৫০টি পরিবারকে দিয়েছেন শুকনো খাবার। তিনি বলেন, ‘ দেশের যে অবস্থা তাতে গরীব মানুষগুলোকে দেখে ঘরে থাকা কঠিন। নিজের সাধ্যমত ৫০টি পরিবারকে চাল, ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় বেশ কিছু খাবার দিয়েছি। যেন আন্তত কিছু দিন চলতে পারে তারা।’

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর