শেরপুরে প্রথমবারের মতো হাসপাতালের এক নারী স্টাফসহ দু’জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়া (৫০) ও স্থানীয় সাতানি শ্রীবরদী এলাকার বাসিন্দা, অন্যজন সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের ছনকান্দা এলাকার গৃহবধূ (৪০)। ওই ঘটনায় দুই পরিবারসহ আশপাশের অন্ততঃ ২০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। আর উভয়ের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের রাখা হয়েছে হোম কোয়ারেন্টাইনে।
এদিকে নমুনা পরীক্ষায় করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার খবরে ওই দুই মহিলার স্ব-স্ব এলাকাসহ খোদ জেলায় করোনা আতঙ্কে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।
রোববার রাত সোয়া ৮টায় সিভিল সার্জন ডা. একেএম আনওয়ারুর রউফ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ থাকায় শনিবার ৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে পাঠানো হয়। রোববার রাত ৮টার দিকে তাদের পরীক্ষার ফলাফলের মধ্যে ওই ২ জনের ফলাফল পজেটিভ আসে। এর ফলে হাসপাতালের ওই নারী স্টাফকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ও সদর উপজেলার ওই গৃহবধূকে জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হচ্ছে।
আর উভয়ের বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের আপাতত রাখা হয়েছে হোম কোয়ারেন্টিনে। প্রয়োজনে পরীক্ষার জন্য তাদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
এদিকে বরাদ্দের পরও রোববার পর্যন্ত শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও নার্সদের পিপিই (পারসোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠেছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। আর ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরই একজন স্টাফ করোনাতে আক্রান্ত হওয়ায় ঝুঁকিতে পড়েছেন হাসপাতালে দায়িত্বরত প্রায় ২৮ জন চিকিৎসক-নার্স ও অন্যান্য স্টাফ।
এ বিষয়ে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে মোবাইলে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে ওই বিষয়ে সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পিপিই আরও আগেই সরবরাহ করা হয়েছে।