কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের শরণার্থী শিবিরে বয়স্করা অত্যাসন্ন ঝুঁকিতে। করোনা ভাইরাসের প্রেক্ষিতে গৃহীত পদক্ষেপে ত্রুটির ফলে তারা এমন ঝুঁকিতে। এসব বয়স্ক মানুষ একদিকে যেমন মহামারির সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে। অন্যদিকে মানবিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে তাদেরকে অন্তর্ভূক্ত করা হচ্ছে ন্যূনতম। ওই আশ্রয় শিবিরে রয়েছে মৌলিক তথ্য পাওয়ার সুবিধায় ভয়ঙ্কর রকম সঙ্কট। সাধারণ মানবিক সাড়ার সময়ে যেসব ভুল করা হয়েছিল, নতুন গবেষণায় দেখা গেছেএখনও সেই একই ভুল করা হচ্ছে। এসব কথা বলেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তারা আরো বলেছে, বাংলাদেশে উপচে পড়া রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরগুলোতে করোনা ভাইরাস বিষয়ে যেসব পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে তাতে উপেক্ষিত থাকছেন বয়স্ক রোহিঙ্গারা।
করোনা মহামারিতে গৃহীত মানবিক সাড়ার বিষয়ে নতুন এক গবেষণা রিপোর্ট আজ প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি। তাতেই এসব বলা হয়। কক্সবাজারে আশ্রয় শিবিরের বাইরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কমিয়ে আনতে জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবাধিকার বিষয়ক অংশীদারদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে করোনা ভাইরাস ইস্যুতে সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বড় জনসমাগম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া নেয়া হয়েছে প্রতিরোধমুলক বিভিন্ন ব্যবস্থা। কিন্তু অ্যামনেস্টির নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, অসুস্থতার বিষয়ে মৌলিক এবং প্রকৃত তথ্য ও প্রতিরোধের নানা পদক্ষেপ ক্যাম্পের ভিতর অবস্থানরত বহু মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারছে না। বিশেষ করে বয়স্ক মানুষের কাছে তা পৌঁছাচ্ছে না, যেমনটটা তাদের বিশেষ প্রয়োজনের দিকে পর্যাপ্ত মনোযোগ দেয়া হয় নি মানবিক সাড়ার সময়ে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ক্রাইসিস রেসপন্স ডেপুটি ডিরেক্টর ম্যাট ওয়েলস বলেন, কিন্তু শরণার্থীদের বা ক্যাম্পে বাস্তুচ্যুত বয়স্ক মানুষদের সুনির্দিষ্ট প্রয়োজন মেটাতে লড়াই করছে মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলো অথবা তারা ব্যর্থ হচ্ছে এক্ষেত্রে।