কেন্দুয়া পৌরশহরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি নিদের্শনা ও উপদেশমূলক বিলবোর্ড দিয়ে গণসচেতনতা করছেন কেন্দুয়া থানা ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান। যে বিলবোর্ডটি সকল-শ্রেণি পেশার মানুষের হৃদয়েকে নাড়া দিয়েছে সেটি হলো "পুলিশকে দেখলেই লুকিয়ে যাওয়া কিংবা দোকান বন্ধ করা। আর চলে গেলেই যেই আর সেই এই ধোকা আপনি পুলিশকে নয়, নিজের পরিবারকে, নিজের দেশকে দিচ্ছেন,দয়া করে করোনা রোধে সচেতন হউন,ঘরে থাকুন,নিরাপদ থাকুন" জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে তারাই দেশপ্রেমিক যাঁরা জাতীয় নিদের্শনা মেনে চলে,করোনাভাইরাসের হাত থেকে ব্যক্তি,পরিবার,সমাজ ও দেশকে নিরাপদ রাথতে সহায়তা করে"। এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা লেখা রয়েছে ওসির এই করোনা সচেতনতা বিলবোর্ডে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে শুরু থেকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসা আল-ইমরান রুহুল ইসলাম ও ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান। দিন-রাত তারা ছুটে যাচ্ছেন উপজেলার এপাশ থেকে ওপাশে। এই দুই কর্মকর্তার যৌত কর্মকান্ডে সোসাল মিডিয়া প্রশংসায় ভাসছেন। সাধুবাদ জানাচ্ছেন সুধীজন।
করোনা সংকটময় সময়ের জন্যে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান রুহুল ইসলাম গড়ে তুলেছেন উপজেলা ব্যাপী একটি শক্তিশালী সেচ্ছাসেবী গ্রুপ। সেচ্ছাসেবীরা সরকারি কর্মকান্ডে ইতিমধ্যে সহায়তা করছেন বলে জানা গেছে। এব্যাপারে নেত্রকোণা জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম বলেন,করোনার প্রতিরোধে ওসি ও ইউএনও সাহেবের ভূমিকা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার। আমাদের চেয়েও তারা বেশি তৎপর। এই ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে তাদের সুস্থতা কামনা করেন তিনি। ওসি রাশেদুজ্জান বলেন,আমরা চেষ্টা করছি করোনার প্রতিরোধে সরকারের বার্তাগুলো মানুষের মাঝে পৌছে দিতে। এক্ষেত্রে অনেক সময় কঠোর হই। এতে আমাদের খারাপ লাগে। কিছুলোক আছে তারা এখনো করোনাভাইরাসের ভয়াবহ রূপটা কি তা বুঝতে চায় না। আরো অবহেলা করে। সবার প্রতি অনুরোধ করোনার ভয়াবহতার বিষয়টি সবার মাঝে ছড়িয়ে দিন আর ঘরে থাকুন নিরাপদ থাকুন।