করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এবং এ জটির পরিস্থিতিতে দিনাজপুরে সাধারণ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মানুষ। সরজমিনে দেখা গেছে, গ্রামের মানুষের চিকিৎসা সেবার প্রাথমিক ভরসা ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো প্রয়োজনীয় সেবা দিতে পাচ্ছেনা। করোনা পরিস্থিতির কারণে দুপুর ১২টার পরই উপ-স্বাস্থকেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। করোনা হোক বা না হোক, গ্রামের আতংকিত সহজ-সরল মানুষেরা সর্দি, কাশি কিংবা জ্বর নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে গেলে চিকিৎসা না দিয়েই রোগীকে ফিরিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। আবার কোন কোন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র খোলাই হচ্ছেনা। জনবল সংকট ও সুষ্ঠু তদারকির অভাবে দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অবস্থিত অধিকাংশ উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এখন এই বেহাল দশ।
দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জেন ডা. মো.আব্দুল কুদ্দুসের সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি জানিয়েছেন,জেলার এক’শ দুইটি ইউনিয়ের মধ্যে ৩১টি ইউনিয়নে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। প্রতিটি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন এমবিবিএস মেডিকেল অফিসার,একজন উপ-সহকারি মেডিকেল অফিসার, একজন ফার্মাসিস্ট,একজন অফিস সহায়ক,একজন আয়াসহ ৫টি পদ রয়েছে। কিন্তু,কর্মকর্তা-কর্মচারীর বদলী এবং অনুপস্থিতির কারণে এখন নিঝুম পুরীতে পরিনত হয়েছে এসব অধিকাংশ উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র।
কোন কোনটি আবার পরিনত হয়েছে,আবাসস্থলে। বাস্তবতায় জোড়াতালি দিয়ে কোনমতো চলছে, এসব উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। এতে গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা’সহ গ্রামীণ শিশু,নারী-পুরুষ করোনাভাইরাসের এ জটির পরিস্থিতিতে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক ঝুকি মোকাবেলায় সর্বত্র যখন উদ্বেগ-উৎকন্ঠা আতংক বিরাজ করছে, তখন আতংকিত গ্রামের সহজ-সরল এসব মানুষ জ্বর,সর্দি,কাশির চিকিৎসা সেবা নিতে এসে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে বিমূখ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।