× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

লাশের মিছিল দেখে আতঙ্ক /মধ্যবিত্তের পাশে কে! প্রশ্ন বিজয়ের

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
৬ এপ্রিল ২০২০, সোমবার

আক্রান্ত ১৩ লাখ ছুঁই ছুঁই। মারা গেছে প্রায় ৭০ হাজার। বাংলাদেশেও কভিড-১৯ এ আক্রান্ত ১২৩ জন। এদের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। কোথায় গিয়ে ঠেকবে সংখ্যাটা করো জানা নেই। যা দেখে ভয় আর আতঙ্কে কুঁকড়ে যাচ্ছেন ক্রিকেটার এনামুল হক বিজয়। বাসায় বসে সবসময় খেয়াল  রাখছেন বিশ্ব ও দেশের পরিস্থিতি। মানুষের মৃত্যুসংবাদ তাকে বিচলিত করে তুলছে।

অন্যদিকে মাঠের ক্রিকেটার ঘরবন্দি হয়ে ছটফট করছেন পানি ছাড়া মাছের মতো। বিজয় বলেন, ‘আল্লাহই জানেন এই ভয়াবহ বিপদের শেষ কোথায়। চিন্তা করতে পারেন ১২ লাখ মানুষ আক্রান্ত! ৬০ হাজারের উপরে মারা গেছেন। ভাবতেই ভয় লাগে, কী হবে আমাদের! কোন দিকে যাচ্ছে পরিস্থিতি। মাঠে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। তাই বাড়ির ছাড়েই জিম করে সময় কাটাই।’

মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য বেশি চিন্তা হচ্ছে বিজয়ের। তিনি বলেন, ‘দেখুন, যারা ধনী তাদের সংখ্যা খুব বেশি নয়। তারা কিন্তু চলতে পারবে। আবার দরিদ্র সংখ্যা বেশি হলে তাদের পাশে দাঁড়ানোর মানুষ আছে। সরকার থেকে শুরু করে কেউ না কেউ তাদের দিচ্ছে। কিন্তু ৪ থেকে ৫ কোটির মতো মধ্যবিত্ত তাদের কি হবে? তারা তো কারো কাছে হাত পাততে পারবে না। মুখ ফুটে সাহায্যের কথা বলতেও পারবে না। তাদের পাশে কে দাঁড়বে? তাদের কথা কেউ ভাবছে বলেতো আমার মনেও হয় না।’

সাধারণ ক্রিকেটারদের জন্যও বড় বিপদ আসছে বলে মনে করেন বিজয়। তিনি বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন যারা ক্রিকেট খেলে হয়তো সমান আয় বা তাদের কোনো সমস্যা নেই। তা ঠিক নয়। জাতীয় দলের যারা খেলে তাদের আয় আর যারা শুধু ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে তাদের আয় এক নয়। এই দেশে অনেক ক্রিকেটার আছে যাদের লীগ খেলেই আয় করতে হয়। কিন্তু দেশে সবধরনের লীগ বন্ধ। এখন তারা কী করবেন? কতদিন চলবে তাদের সংসার? আমি বলতে চাইছি মধ্যম আয়ের ক্রিকেটাররা  বিপদের মুখোমুখি।’    

রিকশায় ঘুরে ঘুরে ১০০ পরিবারকে ত্রাণ
ভয় ও আতঙ্কের নিয়ে ঘরে বসে থাকেননি বিজয়। নিজের স্ত্রীকে নিয়ে বের হয়ে পড়েন ত্রাণ সহায়তা দিতে। রিকশা নিয়ে ঘুরে ঘুরে গরীব আর অভাবী মানুষের মাঝে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন। পাশে দাঁড়িয়েছেন ১০০টি দরিদ্র পরিবারের। বিজয় বলেন, ‘আমারা তো খেয়ে-পরে চলতে পারবো। কিন্তু যারা দিন আনে দিন খায় তাদের দুরবস্থা ভাবা যায় না। আমি আর আমার স্ত্রী মিলে রিকশায় ঘুরে ঘুরে ত্রাণ দিয়েছি এমন পরিবারগুলোর মঝে। ১০০টি পরিবারকে দিতে পেরেছি। শেষ প্যাকেটা যখন দেই তখন মনে হয়েছে আরো অনেককে দেয়া বাকি। শেষ ত্রাণটা দিতে গিয়ে দেখেছি আরো কত মানুষ অপেক্ষায় আছে।’

জাতীয় দলে ফেরাও কঠিন হচ্ছে
জাতীয় দলে প্রায় অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন এনামুল হক বিজয়। এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান নিজের যোগ্যতার প্রমাণ রাখতে না পেরে বার বার ছিটকে পড়ছেন মাঠের বাইরে। নিজের চতুর্থ ও শেষ টেস্ট খেলেছেন ২০১৪ তে। এরপর ২০১৫ তে বাদ পড়েন টি-টোয়েন্টি দল থেকে। সব শেষ ওয়ানডে দলে ফিরলেও গতবছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ খেলেছেন। এরপর তার আর জাতীয় দলে খেলার সুযোগ হয়নি। তবে ঢাকা লীগ খেলে ফের চিন্তা ছিল জাতীয় দলে ফেরার পথ তৈরি করার। কিন্তু করোনা আতঙ্কে লীগ বন্ধ। তাই জাতীয় দলে ফেরাও কঠিন মনে হচ্ছে বিজয়ের। তিনি বলেন,  ‘জাতীয় লীগ (এনসিএল) ভালো হয়েছে। এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লীগটাও ভেবেছিলাম দারুণ কিছু করবো। কারণ জাতীয় দলে ফেরার জন্য পারফরম্যান্স ছাড়া আর কোনো পথ নেই। কিন্তু এখন সেটাও কঠিন মনে হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের যে বিস্তার তা ভয়ঙ্কর। তাতে কবে নাগাদ আমরা মাঠে ফিরতে পারবো তা বলা কঠিন। এরপর মাঠে ফিররেও আগের ফিটনেস ফিরে পাওয়ার কঠিন লড়াই। সবমিলিয়ে যারা জাতীয় দলের ফেরার লড়াই করছিলাম। তাদের জন্য কঠিন সময়ই চলছে।’

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর