চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে শরীফ মোহাম্মদ (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত যুবক আনোয়ারা উপজেলার মধ্যম শিলাইগড়া এলাকার মৃত আবুল কালামের ছেলে। এ ঘটনায় মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির বাড়ীসহ ১৩টি বাড়ী লকডাউন করা হয়েছে।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ জানান, রবিবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উপজেলার শিলাইগড় পাড়ার যুবক শরিফ উদ্দিন (২৩) করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
তার মধ্যে শ্বাসকষ্ঠ, গলাব্যথাসহ করোনা উপসর্গ রয়েছে এমন তথ্যের পর সতর্কতার অংশ হিসেবে শিলাইগড় পাড়া লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। প্রায় শতাধিক পরিবারের বসবাস করা ওই পাড়ায় সবার নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে সোমবার ভোর থেকে পাড়ায় প্রবেশ কিংবা ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
মৃত যুবকের নমুনা পরীক্ষার জন্য ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। সোমবার রাতে নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। তবে মৃত্যুর ৩ ঘন্টারও বেশী সময় পার হওয়ার পর নমুনা সংগ্রহ করায় প্রকৃত ফলাফল পাওয়া নিয়ে চিকিৎসকরা সন্দেহ প্রকাশ করেন বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হলে ওই এলাকা লকডাউন পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইউএনও।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মৃত ওই যুবক স্থানীয় দোকানী। অসুস্থ বোধ করলে প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে যান। ওই চিকিৎসক করোর উপসর্গ সন্দেহ হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তির পরামর্শ দেন।
বারখাইন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জানান, লকডাউন ঘোষণা করার পর ওই এলাকার প্রতিটি প্রবেশপথে পুলিশের পাহারা বসানো হয়েছে। পাড়ার কেউ যাতে বাইরে আসতে না পারে, কিংবা ভেতরে যাতে কেউ যেতে না পারে সেটি নিশ্চিত করা হচ্ছে।