ঘাটাইল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন পাড়া, মহল্লা ও গ্রাম, গ্রামে গাছের গুড়ি, বাঁশ ও ভারি ইটের দেয়াল ভেঙ্গে রাস্তা ব্যারিকেড করে নিজ নিজ এলাকা লকডাউন করে রেখেছে স্হানীয়রা। এ ছাড়াও ঘাটাইল পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়ক ও মহল্লা গাছের গুড়ি ফেলে ও বাঁশ বেধে লকডাউন করে দিয়েছে এলাকার জনসাধারণ ও গ্রামের যুবকরা। আজ সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার জামুরিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ও পৌরসভা এলাকার বিভিন্ন গ্রাম পাড়া মহল্লা ও সড়ক লকডাউন করে এলাকার বাসিন্দারা স্বেচ্ছায় অবরুদ্ধ জীবনযাপন করছে। উপজেলার জামুরিয়া ইউনিয়নের সাধুর গলগন্ডা গ্রামে গিয়ে দেখা যায় প্রতিটি প্রবেশ মুখে ঘাটাইল- ভূয়াপুর সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে ও টায়ারে আগুন ধরিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে গ্রামবাসী। সেখানে দাড়িয়ে আছে কতিপয় যুবক ।
কায়সার কবীর মিলন জানান, সড়ক দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করতে এবং গ্রামকে সুরক্ষিত রাখতে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গ্রামে বাইরের কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না এবং গ্রামবাসী জরুরি প্রয়োজন ছাড়া গ্রামের বাইরে বের হচ্ছেন না। একই ইউনিয়নের গুনগ্রামে গিয়ে দেখা যায় কর্না গ্রামের প্রবেশ মুখ বাশ দিয়ে বেড়া দিয়ে আটকে দিয়েছে গ্রামের যুবকরা। যুবকরা জানান, যানবাহন চলাচল ও গ্রামের মানুষের চলাচল সীমিত করতেই তাদের এই উদ্যোগ। তবে প্রশাসনের সকল যানবাহন ও ত্রানসামগ্রী বিতরণের জন্য চলাচলকারী যানবাহন লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে।
পৌরসভা এলাকার কাজীরোড, পৌরসভা রোড, পশ্চিমপাড়াসহ বিভিন্ন
সড়ক বাশ দিয়ে আটকে দেয়া হয়েছে। যাতে কোন প্রকার সিএনজি, অটোরিক্সা, রিক্সা চলাচল না করতে পারে। এসব যান চলাচলের কারনে বিভিন্ন মোড়ে আড্ডা ও জনসমাগম
ঠেকাতে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে স্থানীয় জনগণ।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জন প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অনেক গ্রামের বাসিন্দারা নিজ উদ্যোগে নিজ নিজ গ্রাম লকডাউন করা শুরু করেছেন। উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেকমত সিকদার বলেন, জনসমাগম ও বাজারে লোকসমাগম ঠোকতে গারোবাজার-সখিপুর সড়ক ও ঘাটাইল-ভরাডোবা সড়ক ছাড়া সব গ্রামীন সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে যাতে হাট-বাজার ও মোড়ে মোড়ে জনসমাগম না হয়। জামুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামীম খান বলেন, নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন গ্রাম লকডাউন করার খবর পাচ্ছি । নিজে সচেতন না হলে করোনা প্রতিরোধ করা সম্ভব না।
গ্রামবাসীর মধ্যে সচেতনতাবোধ তৈরি হওয়ায় জন্য তিনি তাদের ধন্যবাদ জানান। তবে প্রশাসনিক কাজে যাতে বাধার সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার বলেন, জনগণ সচেতন না হলে এ দুর্যোগ কাটিয়ে উঠা সম্ভব না। তবে লকডাউনের কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, সরকারি খাদ্য সহায়তা জরুরি রোগী পরিবহন তথা রাষ্ট্রীয় কাজের বিঘ্ন না ঘটে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।