× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খোলা আর বন্ধের খেলায় বেকায়দায় পোশাক শ্রমিকরা

বাংলারজমিন

ইকবাল আহমদ সরকার, গাজীপুর থেকে
৬ এপ্রিল ২০২০, সোমবার

 গাজীপুরের অসংখ্য পোশাক শ্রমিক কারখানা খোলা আর বন্ধের খেলার পরে ভোগান্তিতে রয়েছেন। তারা একবার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসেছেন কর্মস্থলে উদ্দেশ্যে। আবার ভোগান্তির পর ভোগান্তি নিয়ে ফিরছেন গ্রামের বাড়ি। গায়ে গা লাগিয়ে ঠাসাঠাসি গাদাগাদি করে ফিরছেন নিজেদের গন্তব্যে।
ভাইরাসের এই সংকটের সময় সামাজিক কিংবা ব্যক্তিগত দূরত্ব বজায় থাকছে না। আবার কোন কারখানায় কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক শ্রমিক। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন কোথাও কোথাও কঠোর অবস্থানে থাকলেও শ্রমিকদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের চিত্র দেখে অনেক ক্ষেত্রে তারা নিজেরাও যেন অনেকটা অসহায় অবস্থায় আছেন।
গাজীপুরে কারখানার শ্রমিকরা জানায়,
পোশাক কারখানা মালিকদের সিদ্ধান্তহীনতায়
জেলা ও মহানগর জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কয়েক হাজার পোশাক কারখানার লাখ শ্রমিক এসেছিলেন কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে। পরিস্থিতি বিবেচনায় সেগুলি আবারো বন্ধ ঘোষণা হলে বেতন-ভাতা না নেই অসহায় অবস্থায় অনেকেই ফিরছেন তাদের গ্রামের বাড়িতে।
কেউ ফিরছেন বাড়িওয়ালারা বাসায় জায়গা দিতে চাচ্ছেন না আবার কারো বা হাতে কাজ নাই টাকা পয়সা নাই সেজন্য ফিরে যাচ্ছেন। বাস-পিকআপ ট্রাক এসবের পাশাপাশি ভাড়ায় করা মোটরসাইকেলে যাচ্ছেন দূর-দূরান্তে।
বিভিন্ন এলাকা কারখানা স্বাগত জানান, এখনো নগর ও জেলা জুড়ে চালু রয়েছে প্রায় শ'খানেক পোশাক কারখানা। আর যাদের ছুটি দেয়া হয়েছে, তাদের প্রায় সব কারখানার শ্রমিকরা এখনো বেতন ভাতা পাননি। চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে তাদের। এই অবস্থাতেই বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে, পায়ে হেঁটে, আবার যানবাহনে চড়ে ভেঙ্গে ভেঙ্গে মাত্র দুই তিনশ টাকার পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে চার থেকে পাঁচ গুন টাকা খরচ করে। এর মাঝেও বিভিন্নস্থানে হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন তারা। করোনা ভাইরাস এর আতঙ্কের চেয়েও আবার কবে কারখানা খুলবে, বেতন ভাতা পাবে কিনা কিংবা আদৌ কারখানা আবারো খুলবে কিনা, এমন অনিশ্চয়তা নিয়ে যাচ্ছেন এই শ্রমিকদের অনেকে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোঃ আনোয়ার হোসেন এ বিষয়ে বলেন, এলাকা ছেড়ে যাতে এসব শ্রমিকরা দলে দলে ছুটতে না পারে সেজন্য পথে পথে যানবাহনের গতি রোধ করতে চেকপোস্ট বসিয়ে কাজ করছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন। সামাজিক ও ব্যক্তিগত দূরত্ব বজায় রাখার এবং নিজ নিজ ঘরে রাখার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর