× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কমলগঞ্জে পাড়া-মহল্লায় চলছে স্বেচ্ছায় লকডাউন

অনলাইন

সাজিদুর রহমান সাজু,কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) থেকে
(৪ বছর আগে) এপ্রিল ৬, ২০২০, সোমবার, ১০:০৬ পূর্বাহ্ন

কমলগঞ্জের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় চলছে স্বেচ্ছায় লকডাউন। স্থানীয় গ্রামবাসী নিজ উদ্যোগে এ লকডাউন করছেন। সোমবার বিকালে কমলগঞ্জের উত্তর পতনঊষার গ্রামের ৪টি বাড়ি কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন লকডাউন করে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়ার পর উপজেলা জুড়ে করোনা আতংক দেখা দেয়। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে অদৃশ্য করোনা ভাইরাসের সংক্রামণের হাত থেকে নিরাপদে থাকতে উপজেলার ৪ গ্রাম লকডাউন করেছেন স্থানীয় গ্রামবাসী।
গত শনিবার মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার টেংরাবাজার ইউনিয়নের আকুয়া গ্রামে করোনা ভাইরাসে মারা যান সেঞ্চু নামে এক ক্ষুদে ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় গতকাল রোববার রাতে রাজনগরের আকুয়া গ্রামসহ ৫টি গ্রাম লকডাউন করা হয়। এ অবস্থায় করোনায় নিহত সেঞ্চুুর পার্শবতী গ্রাম গোপালনগর হতে আজ সকালে কমলগঞ্জের পতনউষার ইউনিয়নের উত্তর পতনউষার গ্রামের মফিজ মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেন তার নিকট এক আত্মীয়। এ সংবাদ পেয়ে সোমবার বিকাল ৩ টা  দিকে কমলগঞ্জের ইউএনও মো. আশেকুল হকের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী,স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন মফিজ মিয়ার বাড়িতে হাজির হয়ে মফিজ মিয়ার বাড়িসহ ৪টি বাড়ি লকডাউন করে ওই বাড়িগুলোতে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে দেয় প্রশাসন। এ ঘটনায় স্থানীয় পতনঊষার ইউনিয়নসহ কমলগঞ্জ উপজেলা জুড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনার পর থেকে কমলগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার পাড়া-মহল্লায় স্বেচ্ছায় লকডাউন করা শুরু হয়।
সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে কমলগঞ্জ উপজেলার সদর কমলগঞ্জ ইউনিয়সের উত্তর তিলকপুর গ্রাম,আদমপুর ইউনিয়নের মণিপুরী পল্লীর উত্তর ঘোড়ামারা ও কান্দিগাঁও গ্রাম, শমসেরনগর ইউনিয়নের শিংড়াউলি গ্রাম করোনা ভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে লকডাউন করা হয়। গ্রামবাসী ও যুবসমাজের উদ্যোগে প্রশাসন ছাড়াই ওই গ্রামগুলোতে প্রবেশের সড়ক বন্ধ করে লকডাউন করা হয়েছে। গ্রামবাসীরা স্বেচ্ছায় লকডাউনের পর সন্ধার পর থেকে তারা অবরুদ্ধ জীবনযাপন করছেন। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না।  এছাড়া কমলগঞ্জের মঙ্গলপুর, চিৎলীয়া ও জাঙ্গালীয়া সড়কের উত্তর তিলকপুর গ্রামে প্রবেশ পথে বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী ফটক। কেউ যাতে গ্রামে প্রবেশ করতে না পারে কিংবা গ্রামের কেউ যাতে অযথা বাহিরে বের হতে না পারে, সে জন্য গ্রামের মূল ফটকে বসানো হয়েছে পাহারা। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সব ধরনের খেলাধুলা ও সামাজিক অনুষ্ঠান। শমসেরনগর ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রামবাসী স্বেচ্ছায় নিরাপদ বেষ্টনী তৈরি করছেন।
কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রুপেন্দ্র কুমার সিংহ বলেন, উত্তর তিলকপুরের এ গ্রামে প্রায় দেড় শতাধিক পরিবার বাস করেন। করোনা প্রতিরোধে এ গ্রামের সবাই স্বেচ্ছায় অবরুদ্ধ জীবনযাপন করছেন। পাঁচটি বাড়ি লকডাউনের সত্যতা নিশ্চিত করে কমলগঞ্জের ইউএনও আশেকুল হক বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজনগরের টেংরাবাজার ইউনিয়নের আকুয়া গ্রামে এক ব্যক্তি নিহতের ঘটনায় আকুয়া গ্রামসহ ৫ টি গ্রাম লকডাউন করা হয়েছে। নিহত ওই ব্যক্তির পাশের গ্রাম গোপালনগর হতে একটি লোক পতনউষারের শশুর বাড়ি আসায় ৪টি বাড়ি লকডাউন করে লাল ঝান্ডা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে করে ওই বাড়িতে বাহিরের লোকজন এবং ওই বাড়ির লোকজন অন্য মানুষের সংস্পর্শে না যায়। লকডাউন করা ৪টি পরিবারের বাড়িতে স্থানীয় চেয়ারম্যান খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিবেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর