ক’দিন আগে কলকাতায় দেখা গেছে। গতকাল দেখা গেলো বাংলাদেশে। সোমবার দিনের প্রথম ভাগে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ জন, আরা মারা গেছেন চার জন। এটা উল্লেখ করা প্রয়োজন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে তিনি এ কথা বলছেন। কিন্তু দুই ঘণ্টা পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিং চমক নিয়ে হাজির হয়। সেখানে আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন তিন জন। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় অবশ্য কেউ বিস্মিত হননি।
টেস্টের সংখ্যা বেড়েছে, বিভিন্ন জায়গা থেকে পরীক্ষার ফল আসছে। দুই ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা যোগ হওয়া বিস্ময়কর নয়। কিন্ত মৃতের সংখ্যা কমে যাওয়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলনেই প্রশ্ন ওঠে। এটাও সাংবাদিকরা জানতে চান, আপনারা কি তথ্য লুকাচ্ছেন। এ প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, একটি বৈঠক চলার সময় মন্ত্রী ফোন করেছিলেন। আইইডিসিআরই তাকে তথ্য দিয়েছে। সেখানে একটি নাম দুবার লেখা হয়েছিল, আলাদা নামে। বানান বিভ্রাট ছিল। মৃতের সংখ্যা তিনই। এ নিয়ে আর বিভ্রান্তির অবকাশ নেই।
এরআগে ওই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক তার নানা আক্ষেপের কথা জানান। তিনি বলেন, একটা ন্যাশনাল কমিটি ফর্ম করা হয়েছে। সেই ন্যাশনাল কমিটির চেয়ারম্যান আমাকে করা হয়েছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে। কিন্তু ন্যাশনাল কমিটিতে যে-সমস্ত সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে, সেই সিদ্ধান্তগুলো আমাদের নলেজে নাই। কখন ফ্যাক্টরি খোলা হবে, খোলা হবে কিনা? এই বিষয়ে আমরা জানিনা। মসজিদে নামাজ কিভাবে হবে সেই বিষয়েও আমরা জানিনা। কখন রাস্তা খুলে দিবে বা বন্ধ করবে সেই বিষয়েও আমরা জানিনা। স্বাস্থ্য বিষয় বাদে কোন ধরণের বিষয় আমাদের সাথে আলোচনা হয়নি। আমি সাংবাদিকদের প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছি। তাদেরকে আমি সদুত্তর দিতে পারিনা। শুধু দেশি সাংবাদিক না আজকাল বিদেশ থেকেও আমাকে অনেক সাংবাদিক ফোন করেন, ইন্টারভিউ নেয়। এসমস্ত বিষয়ে আলোচনা করে অনেক সময় দোষও দেয়। আপনি যদি সেই কমিটির হেড হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এই সিদ্ধান্তগুলো জানেন না কেন? এটাও একটা সমস্যা। আমি সচিব সাহেবকে বলেছি, এই বিষয়গুলো একটু আলোচনা করে অন্তত আমাদের কাছ থেকে সিধান্ত না নিলেও অন্তত পরামর্শতো করতে পারেন। তখন আমাদের পরমার্শটা আমরা দিতে পারি।