× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করোনা আতঙ্ক /এও কি সম্ভব!

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) এপ্রিল ৭, ২০২০, মঙ্গলবার, ৯:৪৯ পূর্বাহ্ন

করোনা ভাইরাস আতঙ্কে বিশ^জুড়ে ঘটে যাচ্ছে অনেক হৃদয়বিদারক ঘটনা। একদিকে করোনায় মৃত্যু, অন্যদিকে আক্রান্ত- এ নিয়ে খবরের নিচে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে ওইসব ঘটনার অনেকটা। তেমনই এক ঘটনা প্রকাশ করেছে লন্ডনের ডেইলি মেইল। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় রাজ্যের (৫৪) বছর বয়সী এক ব্যক্তির সন্দেহ হয়- তার ও তার স্ত্রীর করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে। তাই তিনি প্রথমে গুলি করে হত্যা করেন স্ত্রীকে। এরপর নিজে আত্মহত্যা করেন। কিন্তু অবাক হওয়ার, গা শিউরে উঠার খবর কি জানেন! পরে তাদের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে তাদের দেহে কোনো করোনা ভাইরাস সংক্রমণই নেই। এবার ভাবুন তো, করোনা ভাইরাস নিয়ে মানুষের মাঝে কি মাত্রায় প্যানিক বা পীড়া সৃষ্টি হয়েছে! কি পরিমাণ আতঙ্কে থাকলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে!

ডেইলি মেইল লিখেছে, ওই দম্পতির বাস শিকাগোতে।
সেখানকার উইল কাউন্টি শেরিফ অফিস থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, খবর পেয়ে তারা তাদের ডেপুটিদের ঘটনাস্থলে পাঠায়। যে বাড়িতে ওই ঘটনা ঘটেছে তা লকপোর্ট টাউনশিপ থেকে ৪০০ ব্লক দূরে ব্রুস রোডে। ওই বাড়িতে গিয়ে তারা দেখতে পান মরে পড়ে আছেন ৫৪ বছর বয়সী প্যাট্টিক জেসারনিক এবং ৫৯ বছর বয়সী শেরিল শ্রিফার। দু’টি মৃতদেহ পাওয়া যায় আলাদা দুটি রুমে। রুম দুটি ছিল রক্তে সয়লার। তাদের প্রত্যেককে মাথায় একটিমাত্র গুলি করা হয়েছে। জেসারনিকের দেহের পাশে উদ্ধার করা হয়েছে একটি রিভলবার। তারা দেহ দুটিকে পরীক্ষা করে দেখতে পান, অনেকক্ষণ আগেই মারা গিয়েছেন।

কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রিপোর্টে লিখেছেন, ওই বাড়ির প্রতিটি দরজা এবং জানালা ভিতর থেকে আটকানো ছিল। বাসার ভিতরটা পরিপাটি সাজানো ছিল। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া হলে ঘরের ভিতর জিনিসপত্র এলোমেলো থাকতো। কিন্তু ওই বাড়িতে তা নেই। এ বিষয়ে পুলিশকে যে ব্যক্তি ফোন করেছেন, তিনি বলেছেন, জেসারনিকের পরিবার তার সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং জেসারনিকের কি হয়েছে তা জানতে চায়। কারণ, তারা ফোন করে কোনোভাবেই তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না।

বিষয়টি উদঘাটনের পর গোয়েন্দারা ওই বাড়িটি তল্লাশি করেছেন। তাতে কোনো রকম বিশৃংখল বা নিজেদের মধ্যে কোনো রকম ঝগড়ার আলামত পাওয়া যায় নি। তবে জানা গেছে, শ্রিফার শ^াস-প্রশ^াসের জটিল সমস্যায় ভুগছিলেন। এটা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম লক্ষণ। তাদের পারিবারিক সূত্র বলেছেন, তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা এমন কোনো রিপোর্ট নেই কারো কাছে। ফলে তাদের এই ‘আত্মহত্যা’র পরের দিন লাশের ময়না তদন্ত হয়। তাতে দেখা যায়, খুব কাছ থেকে প্যাট্রিক জেসারনিকের পিছন থেকে মাথায় গুলি করা হয়েছে। তার এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তিনি নিজেকে গুলি করেছিলেন। তাদের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে কারো দেহেই করোনা সংক্রমণ নেই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর