× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যেভাবে মানবদেহে আক্রমণ করে করোনা ভাইরাস (ভিডিও)

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) এপ্রিল ৭, ২০২০, মঙ্গলবার, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন

বিশ্ব জুড়েই ত্রাস সৃষ্টি করেছে চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া করোনা ভাইরাস। ইতিমধ্যে এতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ। আক্রান্ত প্রায় ১৪ লাখ। দেশে দেশে চলছে লকডাউন আবার নতুন ভাইরাস হওয়ায় এ নিয়ে রয়েছে নানা বিভ্রান্তিও। এই ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করে কী কী কার্যকলাপ ঘটায়, কোন কোন অংশে আক্রমণ করে তা নিয়েও অস্পষ্টতা রয়েছে মানুষের মনে। করোনা ভাইরাস কিভাবে দেহে আক্রমণ করে তা নিয়ে এখন নিশ্চিত বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, রোগাক্রান্ত মানুষের হাঁচি-কাশির ড্রপলেট বায়ুতে ঘুরে বেড়ায়। রোগীর কাছাকাছি থাকা সুস্থ মানুষের নাক, মুখ ও চোখের মাধ্যমে তার শরীরে প্রবেশ করে এই ড্রপলেট।
শরীরে এসেই ভাইরাসের অণুগুলো দ্রুত গলার ভিতরের দিকের কোষে গিয়ে হানা দেয়। সেই কোষই তখন হয়ে যায় গ্রাহক কোষ। এরপর এটি তার জিনগত উপাদান সুস্থ মানুষটির দেহকোষে প্রবেশ করতে শুরু করে। সহজ কথায় গ্রাহক কোষ থেকেই বংশ বিস্তার করতে থাকে করোনা ভাইরাস। কোষকে নিয়ন্ত্রণ করেই ভাইরাসটি বৃদ্ধি ও বেড়ে ওঠে। প্রাথমিক দিকে ভাইরাসের অণুগুলি ফেটে গিয়ে গ্রাহক কোষের চারপাশে থাকা অন্যান্য কোষগুলিকে আক্রমণ করে। তখনই হালকা গলাব্যথা ও শুকনো কাশি শুরু হয়। এর পর দ্রুত এই ভাইরাস ব্রঙ্কিওল টিউবে ছড়িয়ে পড়ে। বাড়তে বাড়তে একসময় ফুসফুসে আক্রমণ করে করোনা ভাইরাস। এটি অ্যালভিওলাই ও ফুসফুসের থলিগুলির ক্ষতি করে। ফলে দেহের পক্ষে অক্সিজেন সরবরাহ করা ও কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারণ করার কাজটাও খুব কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো ব্যক্তির প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা শক্তিশালী বা দুর্বল তার ওপর নির্ভর করে কাকে কতখানি কাবু করবে করোনা ভাইরাস। সবথেকে ঝুঁকিতে রয়েছেন, বয়স্ক ব্যক্তি এবং ডায়বেটিস, নিউমোনিয়া, উচ্চ রক্তচাপ ও অন্য কোনও দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার রোগিরা। করোনা যখন ফুসফুসে আলাদা আস্তরণ তৈরি করে তখন প্রতিরোধ ক্ষমতা না থাকলে বাধা দিতে পারেনা শরীর। ফলে আস্তে আস্তে শ্বাস নিতে কষ্ট হয় রোগির। এক পর্যায়ে কৃত্রিমভাবে রোগিকে শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করতে হয়। যদি এরমধ্যেও শরীরের শ্বেত রক্ত কণিকা করোনার ভাইরাসকে ধ্বংস করতে না পারে তাহলে মৃত্যুমুখে পতিত হয় রোগি। ভাইরাসটি কোনো একটি প্রাণী থেকে মানুষের দেহে ঢুকেছে। এরপর বিবর্তিত হয়ে একজন থেকে আরেকজনের দেহে ছড়িয়েছে। এসময় নিজের জিনগত গঠনে সবসময় পরিবর্তন বা মিউটেশন করছে। তাই এ ভাইরাস হয়তো আরো বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে, এমন আশংকা রয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভাইরাসটি হয়তো মানুষের দেহকোষের ভেতরে ইতিমধ্যেই মিউটেট করছে অর্থাৎ গঠন পরিবর্তন করে নতুন রূপ নিচ্ছে এবং সংখ্যাবৃদ্ধি করছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর