× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

একজন হোসনে আরা ওয়াহিদের নি:শব্দে বিদায়

অনলাইন

মিজানুর রহমান
(৪ বছর আগে) এপ্রিল ৭, ২০২০, মঙ্গলবার, ১২:৫৮ অপরাহ্ন

করোনা আতঙ্কের ডামাডোলে মৌলভীবাজারের এক মহিয়সী নারী রাজনীতিকের মারা যাওয়ার খবরটি চাপা পড়ে গেছে। তার মৃত্যুর কারণ অবশ্য করোনা নয়, তিনি অন্য জটিলতায় ভুগছিলেন। মৌলভীবাজার-হবিগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি হোসনে আরা ওয়াহিদ সোমবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন । নেটিজনরা তার কর্মময় জীবনকে নানাভাবে স্মরণ করছেন। মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান তার টাইমলাইনে লিখেছেন- রাজনীতিক হোসনে আরা ওয়াহিদ দীর্ঘদিন ধরে কিডনি, ডায়বেটিসসহ শারীরিক নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। তার মূতুতে মৌলভীবাজার পৌরসভার পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করছি।'
আবর আমিরাত প্রবাসী শাহাবুদ্দিন চৌধুরী লিখেছেন- মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের প্রবীণ নেতা আব্দুল ওয়াহিদের সহধর্মীনি  সংরক্ষিত আসনের সাবেক সাংসদ হোসনে আরা ওয়াহিদের মৃত্যু সংবাদটি শোনার পর থেকেই তাকে মনে পড়ছে।  ২০১৯ সালের এপ্রিলের একটি ঘটনা এবং ব্যক্তিগত সাক্ষাতের অংশ বিশেষ বর্ণনা করে তিনি লিখেন-  "সত্যিই আব্বার (আওয়ামী লীগের তৃণমূলের কর্মী আলাউদ্দিন চৌধুরী) ইন্তেকালের পর আমাদের পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিষয়ে অভিভাবক হিসাবে পেয়েছি হোসনে আরা ওয়াহিদ চাচী ও ওয়াহিদ চাচাকে। দোয়া করি মানবদরদী ওই নারী রাজনীতিককে অাল্লাহ জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান হিসেবে কবুল করুন। আমিন" জেলার প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক হাসানাত কামাল 'একজন অভিভাবক; প্রিয় মানুষের বিদায়' শিরোনামে লিখেন-
হোসনে আরা ওয়াহিদ, অসাধারণ গুণাবলীর একজন মহীয়সী নারী, অসম্ভব ভালো মানুষ ছিলেন।
ছিলেন একজন সুখী মানুষের প্রতিকৃত। রাজনৈতিক পরিবারে স্বামী, ছেলে-মেয়ে, স্বজন-পরিজন নিয়ে হাসিমুখে জীবনটা কাটিয়ে গেছেন। ব্যক্তিগতভাবে আমাকে স্নেহ করতেন, নিজের ছেলের মত। তার সন্তানদের নিয়েও সন্তুষ্ট ছিলেন। তীব্র যন্ত্রণার ভেতরও তার মুখে দেখেছি নির্মল হাসি। মানুষকে ভালোবাসার অসাধারণ গুণ ছিল তার। শারীরিক অসুস্থা নিয়েও নিয়মিত মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করতেন। আমাদের রেড ক্রিসেন্টের মিটিংয়ে নিয়মিত আসতেন। অসুস্থতার মধ্যেও সক্রিয় ভূমিকা রাখার চেষ্টা করতেন। ভালোবাসতেন মানুষকে। বাসায় গেলে কিছু মুখে না দিয়ে ফেরার উপায় ছিল না কারও। তিনি অসহায় মানুষের জন্য ছিলেন নিবেদিত। নিজে চেষ্টা করতেন, অন্যদেরও উৎসাহ দিতেন মানবতার জন্য কিছু করতে। ক্ষমতার দাম্ভিকতা তাকে স্পর্শ করতে পারেনি কখনো। মাঝে মাঝে ফোন দিতেন। এলাকার, দেশের খোঁজ-খবর নিতেন। ভালো-মন্দ জিজ্ঞেস করতেন। এখন আর কেউ বলবেনা- ‘কামাল তোমার টিভি’ত আমরারে দেখাওনি।’
সমাপনীতে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে হাসানাত লিখেন- পরপারে ভালো থাকুন আপনি (আন্টি)। আপনার মতো পরোপকারী নারীর যুগে যুগে জন্ম হোক আমাদের সমাজে-রাষ্ট্রে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর