× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চিকিৎসক ও লাইসেন্স বিহীন ক্লিনিক

অনলাইন

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) এপ্রিল ৭, ২০২০, মঙ্গলবার, ১:১০ পূর্বাহ্ন

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের ইসলামীয়া ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বৈধ কাগজপত্র দাখিলের কারন দর্শনের নোটিশ দেওয়ার ৩৭ দিন অতিবাহিত হল। অথচ কোন বৈধ কাগজপত্র ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ জমা দিতে না পারলেও এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও  নিময়নীতির তোয়াক্কা না করে হর-হামেশা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। দেখার যেন কেউ নেই। এতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা হচ্ছে  প্রতারিত । চিকিৎসার শেষে রোগীদের দেখা দিচ্ছে নানা শারীরিক সমস্যা এমই অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
জানা যায়, গত ১ মার্চ পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ জাহাংগীর আলম উক্ত প্রতিষ্ঠানকে  চিকিৎসক, নার্সসহ অণ্যান্যে কাগজপত্র ৫ কার্য দিবসের মধ্যে দাখিলের জন্য কারন দর্শনের নোটিশ প্রদান করেন। নোটিস সূত্রে জানা যায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারী পটুয়াখালী সিভিল সার্জন অফিসের এসএমটি মোঃ রফিকুল ইসলাম সরেজমিনে  ক্লিনিকটি পরিদর্শন করেন।
এ সময়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তাকে প্রয়োজনীয় কোন বৈধ কাগজপত্রসহ দেখাতে পারেনি ক্লিনিকের  লাইসেন্স । এচাড়াও চিকিৎসকের স্বাক্ষর বিহীন ছাড়া হচ্ছে প্যাথলোজির রির্পোট, দেখাতে পারেনি এমটি ল্যাব ও চিকিৎসকের মূল কাগজ। ব্লাড স্যাম্পল এইচ বি এস এজি পজেটিভ স্ট্রিপসসহ খালী অবস্থায় রাখা যাহা রোগীদের জন্য খুবই ঝুকিঁপূর্ন। ল্যাব রেফিজারেটর খুলে দেখেন ৩ দিন পূর্বের প্লাস্টিক সিরিজের এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন ভর্তি। ক্লিনিকে ছিলোনা কোন ডাক্তার। চিকিৎসার নামে প্রতারনা ও লাইসেন্স বিহীন ক্লিনিক চালানোর অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য উক্ত নোটিশটি  প্রধান করা হয়।
ইসলামীয়া ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক মোঃ আবুল বাসার বলেন, আমি পটুয়াখালী সিভিল সার্জনের কাছে ক্লিনিকের সকল কাগজপত্র জমা দিয়েছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা বলেন, ইসলামীয়া ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির পরিচালনার জন্য আমি কোন বৈধ কাগজপত্র পাইনি। তবে তারা কিভাবে ক্লিনিকটি চালাচ্ছে তা আমি জানি না।  
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সরোয়ার হোসেন বলেন, ক্লিনিকের পরিচালক অনুমতি পেয়েছে বলে আমাকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছে।
পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ জাহাংগীর আলম বলেন, একটি ক্লিনিক করতে গেলে বৈধ কাগজপত্র থাকা দরকার। কিন্ত ইসলামীয়া ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কিছু কাগজপত্র পেয়েছি। বৈধ কাগজপত্র চেয়ে আবারও নোটিস প্রদান করা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর