করোনা সংকটের এই ভয়াবহ সময়ে ফের চিকিৎসা পেশায় ফিরলেন মিস ইংল্যান্ড- ২০১৯ ভাষা মুখার্জি। ইতিমধ্যে ভারত থেকে যুক্তরাজ্যে ফিরে পুরনো কর্মস্থল পিলগ্রিম হাসপাতালে যোগ দিয়েছেন তিনি। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ২৪ বছর বয়সী বাঙালি এই তরুণী সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য চিকিৎসা পেশা থেকে দূরে সরে এসেছিলেন। ব্যস্ত সময় পার করছিলেন মডেলিং নিয়ে। তবে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুুর্ভাব ছড়িয়ে পড়লে বিবেক কড়া নাড়ে ভাষা মুখার্জির। তাই আবার নিজের আসল পেশায় ফিরে এসেছেন তিনি।
এমন সংকটের দিনে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে মানবসেবা করার পথই বেছে নিয়েছেন ভাষা। এরই মধ্যে বেশ কিছু চ্যারিটি প্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাম্বাসেডর হওয়ারও প্রস্তাব পেয়েছেন তিনি।
ভাষা মুখার্জি গণমাধ্যমকে বলেন, আফ্রিকা, তুরস্ক, ভারত, পাকিস্তানসহ এশিয়ার আরো কয়েকটি দেশ থেকে চ্যারিটি প্রতিষ্ঠানের অ্যাম্পাসেডর হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছি। আমার মনে হয়েছে মিস ইংল্যান্ডের খেতাব জেতার চেয়ে মানবতার জন্য কাজ করাটাই বড়। গত মাসে ভাষা চার সপ্তাহের জন্য ভারতে গিয়েছিলেন কভেন্ট্রি মার্সিয়া লায়নস ক্লাবের সম্মানে। সেখানে বিভিন্ন স্কুলে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতায় শিক্ষার্থীদের সচেতন করেছেন ও প্রতিবন্ধী মেয়ে শিশুদের আর্থিক সহযোগিতা করেছেন লায়নস ক্লাবের হয়ে।
কিন্তু করোনাভাইরাসের সক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে শুর করলে তার পুরনো কর্মস্থল বস্টনের পিলগ্রিম হাসপাতাল থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এরপর তিনি ইংল্যান্ডে ফিরে যান ও তার পুরোনো কর্মস্থলে চিকিৎসক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এর আগে ১৪ দিনের সেলফ আইসোলেশনে থাকেন তিনি। ভাষা মুখার্জি ইংল্যান্ডের ডার্বি শহরে বসবাস করেন। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ‘মেধাবী’ উপাধি পাওয়া এই তরুণী পাঁচটি ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারেন। শুধু তাই নয়, নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি চিকিৎসা বিজ্ঞান, অন্যটি মেডিসিন ও সার্জারি বিষয়ে দুটি পৃথক ডিগ্রিও অর্জন করেছেন তিনি। মেডিক্যালে পড়া শুরুর কিছুদিন পর মডেলিং শুরু করেন ভাষা। এ সুন্দরীর জন্ম ভারতে। তার বয়স যখন নয় বছর, তখন তার পরিবার পাড়ি জমায় ইংল্যান্ডে।