× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দীর্ঘমেয়াদী লকডাউন ও কারফিউ দাবি বাপা’র

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৪ বছর আগে) এপ্রিল ৭, ২০২০, মঙ্গলবার, ২:০৯ পূর্বাহ্ন

মানুষ বাঁচাতে দীর্ঘমেয়াদী লকডাউন ও কারফিউ জারির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। চলমান বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস (কভিক-১৯) সংক্রমণের প্রেক্ষিতে সংস্থাটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের পক্ষ থেকে আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার ‘ব্যাপক পরীক্ষা’ পরিচালনা করে করোনা রোগীদের আলাদা করে ফেলার একমাত্র ও মোক্ষম কৌশলটি প্রয়োগে আমরা এখনও সফল হতে পারিনি। ফলে মনে হয় প্রচুর রোগীর ধাক্কা এখন আমাদের সামাল দিতে হবে।

বাপা’র সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল স্বাক্ষরিত ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বেশ কয়েকটি দাবি জানানো হয়। বলা হয়, একনিষ্ঠ ও দ্রুতগতিতে দীর্ঘ লকডাউন ও কারফিউ জারি করেই মানুষ বাঁচানোর কাজ চালিয়ে যেতে হবে। শহরের ছোট রাস্তায় আর গ্রামের হাট বাজারে মানুষের সমাগম দেখে মনে হয় অনেক সাধারণ মানুষ জেনে বা না জেনে তারা সরকারের নির্দেশ অমান্য করছেন। এ বিষয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় কাজটি সম্পন্ন করার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনমনীয় সিদ্ধান্ত অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে।


সংস্থাটি বলছে, গণমাধ্যমের খবর দেখে মনে হয় কেন্দ্র থেকে গ্র্রাম পর্যন্ত সকল দরিদ্র মানুষের নিকট প্রয়োজনমত সরকারি ত্রাণ এখনও পৌঁছেনি। এ বিষয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় আরো দক্ষতা ও দ্রুততা নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে স্থানীয় বন্য প্রাণীদের জন্যও খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। রোগী চিহ্নিতকরণের জন্য দেশের সকল উপজেলা স¦াস্থ্য কমপ্লেক্সে আরটি-পিসিআর টেস্ট কিট সরবরাহ ও পরিকল্পনা মাফিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেসব চিকিৎসক ও চিকিৎসাসেবা কর্মীরা সরাসরি করোনা রোগীর চিকিৎসার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে আক্রান্ত হবেন তাদের চিকিৎসা ও আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনামূলক ঝুঁকি ভাতা, স্বাস্থ্য ও জীবনবীমা নিশ্চিতে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক ও পূর্ণ মানসম্পন্ন সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) সংগ্রহ করে তা নিরবিচ্ছিন্ন, সঠিক ও অবারিত প্রক্রিয়ায় চিকিৎসক, চিকিৎসা সেবা ও পরিচ্ছন্ন কর্মীদের জন্য নিশ্চিত করতে হবে। জরুরি বা মারাত্মক নয় এমন সাধারণ রোগীদের ছুটি দিয়ে তাদের জন্য কর্মরত সেবাকর্মীদের করোনা রোগী চিকিৎসায় যুক্ত করতে হবে। সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সকল হাসপাতাল, জেলা হাসপাতালে সংকটাপন্ন রোগীর জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইসিইউ এর ব্যবস্থা করতে হবে। আইসোলেশন কার্যক্রমের জন্য সকল স্টেডিয়াম, সরকারি/বেসরকারি সকল বৃহৎ হল বা অডিটরিয়ামে ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণ করতে হবে। ইতিমধ্যে নির্মিত সকল হাসপাতালের প্রয়োজনমত সক্ষমতা নিশ্চিত করতে হবে। করোনা চিকিৎসায় কর্মরত সকল ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য কর্মচারিদের পরিবহন ও থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের নিজ নিজ পরিবার যেন সংক্রমিত না হয়, সেজন্য এই বিচ্ছিন্নকরণ জরুরি ও প্রয়োজনীয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর