চলমান করোনার প্রার্দুভাবে সংক্রমণ ঠেকাতে পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌরসভা সম্পূর্ণ লকডাউন করে দিয়েছেন পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া সব ধরনের বাহন ও লোক চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে এটা কার্যকর করা হয়েছে। তবে বিশেষ প্রয়োজনে পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রবেশ বা বাহিরে যাবার অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার সরজমিনে দেখা যায়, চাটমোহর উপজেলা থেকে ভাঙ্গুড়ায় প্রবেশপথের কালিবাড়ি ও সারুটিয়া সড়কে বাঁশের ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে। পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর উপজেলা থেকে প্রবেশপথ কাশিপুর ও জগতলা মোড়ে বাঁশ দিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়েছে। এছাড়া অষ্টমনিষা সড়কে, নওগাঁ সড়কে ও বেতুয়ান সড়ক সহ পৌরশহরের চারপাশে অন্তত বারোটি সড়কে বাঁশ দিয়ে সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চলাচল বন্ধ করে রাখা হয়েছে। দেখভালের জন্য এসব পয়েন্টে পৌরসভার কর্মচারীসহ স্বেচ্ছাসেবক রাখা হয়েছে। শহরের বাহির থেকে আসা সাধারণ যানবাহন ও যাত্রীদেরকে এসব স্থান থেকে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে স্বেচ্ছাসেবকরা। তবে অতীব প্রয়োজনে সুনির্দিষ্ট কারণ দেখালে তাকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পৌর শহরের ভিতরে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার সুযোগ দেয়া হচ্ছে।
এর দুই সপ্তাহ আগে পৌর কর্তৃপক্ষ শহরের দশটি পয়েন্টে সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেন। সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখতে সংকীর্ণ স্থান থেকে কাঁচাবাজার সরিয়ে উন্মুক্ত স্থানে স্থানান্তর করেন। করোন ভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া এগারোশো পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেন পৌর কর্তৃপক্ষ।
পৌর কর্তৃপক্ষ জানায়, ভাঙ্গুড়া সহ পাবনা জেলায় এখনো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। তবে অনেকেই সর্দিজ্বর ও গলা ব্যথার কারণে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন আছে। এছাড়া অনেকে বিদেশ ফেরত এখনো কোয়ারেন্টিনে আছে। তাই সকলকে নিরাপদে রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ভাঙ্গুড়া পৌর শহরের বাসিন্দা ও ভাঙ্গুড়া টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ বদরুল আলম বলেন, শহরের বাসিন্দাদের নিরাপদে রাখতে পৌর কর্তৃপক্ষ নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। এতে এখন পর্যন্ত পৌর শহরের বাসিন্দারা অনেকটা নিরাপদ আছে। সাধারণ মানুষ সচেতন হয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগকে সহযোগিতা করলে করোনা ভাইরাসের দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।
ভাঙ্গুড়া পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, পৌরবাসীকে নিরাপদে রাখতে সরকারের পরামর্শ মতে সকল ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে। এতে প্রয়োজনে আরো কঠোর হবো। তবুও ভাঙ্গুড়াবাসীকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করব।