করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বিস্তার প্রতিরোধে মির্জাগঞ্জের সকল প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্য উপজেলার সাথে মির্জাগঞ্জের যোগাযোগের প্রতিটি প্রবেশদ্বারে বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। পটুয়াখালীর জেলা প্রশসাক মোঃ মতিউল ইসলামের গণবিজ্ঞপ্তি মোতাবেক মঙ্গলবার সকাল থেকে এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন মির্জাগঞ্জ থানার ওসি এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম। বহিরাগতদের আগমন ও পরিবহন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখতে তিনি পুলিশ বাহিনী নিয়ে উপজেলার কাঠালতলী, আমড়াগাছিয়া,খলিশাখালীসহ প্রতিটি প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেয়। প্রবেশের সব পথে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। ফলে অন্যান্য উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে মির্জাগঞ্জ।এখন থেকে মির্জাগঞ্জ যেন লকডাউন পরিস্থিতিতে সামিল ।
সোমবার বিকাল থেকেই প্রশাসন কঠোর ভূমিকা পালন করেছে। গত রোববার থেকে সারা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যু বৃদ্ধি পেতে থাকায় সোমবার বিকাল থেকেই রাস্তায় ব্যাপক একশন শুরু করে পুলিশ। মোড়ে মাড়ে পুলিশ আটকে দিতে থাকে সব ধরনের গাড়ি। এমনকি রিকসা, অটো, মটর সাইকেলসহ সব পরিবাহন।
। উপজলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে সোমবার বিকালেই মাইকিং করা হয়।বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। মসজিদে মসজিদে মাইকিং করে ঘরে নামাজ পড়ার আহবান জানানো হয়। বিকাল ৫ টার পর ঔষধ ছাড়া সকল দোকান বন্ধ রাখা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের মটর সাইকেল বহর সারা উপজেলা টহল দিয়েছে । বন্ধ করে দেয়া হয়েছে চায়ের দোকানও। ওসি বলেন, নির্দেশ ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। মির্জাগঞ্জ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল অন্যান্য উপজেলা ।