× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভেড়ামারায় মোড়ে মোড়ে লকডাউন

বাংলারজমিন

ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
৭ এপ্রিল ২০২০, মঙ্গলবার

মোড়ে মোড়ে লকডাউন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায়। করোনা ভাইরাসের হাত থেকে মুক্তি পেতে বাহিরের মানুষরা কেউ যেন এলাকায় ঢুকতে না পারে সে জন্য স্বেচ্ছায় লকডাউনের ডাক দিয়েছে স্থানীয়রা। একটি বাড়ি, পৌর এলাকাসহ ২টি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম এখন লকডাউন।
সাপ্তাহিক কুষ্টিয়ার মুখ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ডাঃ আমিরুল ইসলাম মান্নান জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসে মৃত এবং আক্রান্ত’র হার বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ এখন আতঙ্কিত। মানুষের মাঝে উদ্বেগ উৎকন্ঠ দেখা যাচ্ছে। প্রশাসনের সর্বোচ্চ সর্তকাবস্থার মাঝেও প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে এখনো অনেক মানুষ ঘরের বাহিরে আসচ্ছে। স্যোশাল মিডিয়া ফেসবুকেও জেলা উপজেলা লকডাউনের দাবী উঠেছে। কিন্তু এখনো লকডাউন না হওয়ায় স্থানীয়রা স্বেচ্ছায় লকডাউনের ডাক দিয়েছে।
সোমবার দুপুরে হঠাৎ করেই লকডাউনের ডাক দেয় ভেড়ামারার গাছিয়া দৌলতপুর এলাকার মানুষ।
তারা পরানখালী এবং গাছিয়া দৌলতপুরের কাটা দাড়ের পাড় এলাকা পর্যন্ত প্রধান সড়কে বাঁশ বেঁধে দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেয়। ঝুঁলিয়ে দেয় লাল নিশান। জুনিয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার বিশুকে বসানো হয় জনগণকে সর্তক করার জন্য।
মঙ্গলবার বিকালে ধরমপুর ইউনিয়নের ধরমপুর গ্রাম লকডাউন করে দেওয়া হয়। প্রধান সড়কে বাঁশ টাঙ্গিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বুধবার সকালে ভেড়ামারা পৌরসভার মধ্যবাজার স্বর্ণকার পট্রি এলাকা লকডাউন করে দেয় স্থানীয়রা। ড্রাম এর উপর বাঁশ দিয়ে শহরের বাইপাশ সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
প্রতিভা মডেল একাডেমী স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাংবাদিক ফিরোজ মাহমুদ জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত’র সংখ্যা আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধির সাথে সাথে মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়েছে। এ জন্যই স্থানীয়রা নিজ এলাকা বাঁচাতে লকডাউন করে দিয়েছে।
এ দিকে ঢাকা ফেরত এক বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ভেড়ামারা পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কলেজপাড়ার ওই বাড়ির মালিক ডাঃ আব্দুল কাদের। তার দুই মেয়ে থাকতো ঢাকায়। ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাইমুল হক জানিয়েছেন, ঢাকায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যে বিল্ডিং এর লোক মারা গেছে, ওই বিল্ডিং এ থাকতো এরা। সুযোগ বুঝে রাতের অন্ধকারে পালিয়ে ভেড়ামারায় এসেছে। স্থানীয়রা বিষয়টি জানালে প্রশাসন বাড়িটি লক ডাউন করে দিয়ে লাল নিশান টাঙ্গিয়ে দিয়েছে।
ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল মারুফ মোড়ে মোড়ে লকডাউনের কথা স্বীকার করে বলেছেন, দিনরাত সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি জনগনকে ঘরে রাখার জন্য। এরপরো কিছু মানুষ অযথা অপ্রয়োজনে ঘরের বাহিরে আসে। এলাকার সচেতন মানুষ তাদের ঘরে রাখার জন্য, বাহিরাগতদের এলাকায় ঢুকতে না দেওয়ার জন্য সচেতনতামুলক লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে। এটা ভালো উদ্যোগ। তিনি বলেন, জনসমাগম এড়াতে ভেড়ামারার কাঁচা বাজার খ্যাত কলেজ বাজার সাময়িক ভাবে ভেড়ামারা কলেজ মাঠে স্থানান্তর করা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর