করোনার ভয়াবহতা সারা দুনিয়াকে টালমাটাল করে তুলেছে। বাংলাদেশেও দিন দিন বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। সাধারণ ছুটি চলছে। লকডাউন করা হয়েছে অনেক জায়গা। করোনা যেন ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য বাসায় থাকতে বলা হয়েছে। অন্য সবার মতো জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনাও বাসায় রয়েছেন ২০শে মার্চ থেকে। এই সময়ের মধ্যে একবারের জন্যও ঘর থেকে বের হননি তিনি। এ বিষয়ে কনা বলেন, এই সময়টাতে একবারের জন্যও বাসা থেকে বের হইনি।
অথচ সারা জীবনে কখনো টানা দুই দিন বাসায় থাকিনি। প্রথম কয়েক দিন খুব খারাপ লেগেছিল। এখনো খারাপ লাগে। তবে আগের চেয়ে কম। প্রথমদিকে খারাপ লাগতো হঠাৎ ঘরবন্দি হওয়ার কারণে। আর এখন খারাপ লাগে টেনশনে। এখন তো সারাক্ষণ টেনশন, অনিশ্চয়তা, কী জানি হয়! এই কদিনের মধ্যে তিন-চারবার ছাদে গেছি। আকাশ দেখেছি। ওইটুকুই স্বস্তি। কবে যে আল্লাহ এই মহামারি থেকে পৃথিবীটাকে রক্ষা করবে! এদিকে কনা নিজে যেমন বাসায় থাকছেন, তেমনি অন্য সবাইকেও বাসায় থাকার অনুরোধ করছেন। তিনি বলেন, এখন বাসায় থাকার বিকল্প নেই।
করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তাছাড়া যে যে নিয়মের কথা বলা হচ্ছে সেগুলো পালন করতে হবে। বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। অতি প্রয়োজনে বাইরে গেলেও তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে অন্যদের সঙ্গে। আমি নিজে এখন বাসায় থাকছি। বাসায় থেকে মাকে কাজে সাহায্য করছি। রান্নাবান্না, ঘর গোছানো প্রভৃতি করছি। বাবার জন্য শরবত বানাচ্ছি, চা তৈরি করছি। আর কয়েক দিন ধরে বেশি বেশি গান শুনে মনটাকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছি।
নামাজ-কালাম পড়ছি। আল্লাহর কাছে দোয়া চাইছি। নিশ্চয়ই তিনি আমাদের এই বিপদ থেকে রক্ষা করবেন। এর বাইরে একটি বিষয় বলতে চাই। এখন সব থেকে বিপাকে পরেছেন দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। তারা বেকার হয়ে পরেছেন। তাদের কোনো আয় নেই। এমন অবস্থায় তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। দুঃসময়ে মানুষের সহযোগিতা করা সবারই দায়িত্ব। আমার আশপাশে যারা আছে, তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। আমি মনে করি, সবাই যদি আশপাশের মানুষের খেয়াল রাখি তাহলে এ সমস্যার সমাধান অনেকটাই সম্ভব।