× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আক্কাসকে আজও মনে পড়ে ববিতার

বিনোদন

স্টাফ রিপোর্টার
৯ এপ্রিল ২০২০, বৃহস্পতিবার

উপমহাদেশের প্রখ্যাত গীতিকবি, চলচ্চিত্র পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ারের প্রযোজনা সংস্থা থেকে নির্মিত দ্বীলিপ বিশ^াস পরিচালিত ‘বন্ধু’ সিনেমাতে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের পরিবারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক খ্যতিমান অভিনেত্রী ববিতার সম্পৃক্ততা গড়ে উঠে। পরবর্তীতে এ অভিনেত্রী গাজী মাজহারুল আনোয়ারের নির্দেশনায় ‘শাস্তি’ সিনেমাতে অনবদ্য অভিনয় করেন। ১৯৮৪ সালের ২রা মার্চ মুক্তি পায় ছবিটি। পরের বছরই ববিতা অভিনয় করেন গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ‘চোর’ সিনেমায়। ১৯৮৫ সালের ২৬শে জুলাই সিনেমাটি দেশের ২৮টি সিনেমা হলে মুক্তি পায়। প্রায় ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ সিনেমা ব্যবসা করে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার উপরে, জানান গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ছেলে সরফরাজ আনোয়ার উপল।

‘চোর’ সিনেমায় আক্কাস নামের একজন পকেটমারের চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেছিলেন ববিতা। সেই সময় তার মাথায় ক্যাপ এবং প্যান্ট শার্ট পরিহিত স্টালিস্ট ববিতার অনবদ্য অভিনয় দর্শক মহলে দারুণ সাড়া ফেলেছিল।
সিনেমাটিতে আরো অভিনয় করেছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক, সূচন্দা, সোহেল রানা, জাফর ইকবাল, রানী, রাজ, নাসির খানসহ আরো অনেকে। সিনেমাটিতে ববিতার লিপে ‘আমার টাকা আছে ভাই পাবলিকের পকেটে’ গানটি সেই সময় সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে। গানটি লিখেছিলেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার এবং সুর সংগীত করেছিলেন সত্য সাহা। গানটি গেয়েছিলেন বহুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গায়িকা সাবিনা ইয়াসমিন।

এ গানটি ছাড়াও এই সিনেমার ‘কেঁদে কেঁদে জীবন যাবে’, ‘ও বাবারে দেইখা যারে ডিসকো ঘোড়ার লাফ’, ‘শোনরে শোনরে আরো শোন, এক চোরের ছেলে বড় হয়ে বাপ মা গেলো ভুলে’সহ বাকি গানগুলোও দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। ‘চোর’ সিনেমাটিতে আক্কাস চরিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে ববিতা বলেন, এ সিনেমাতে অভিনয়ের আগেই গাজী ভাইয়ের প্রযোজনা এবং নির্দেশনায় আমি ‘শাস্তি’ সিনেমায় অভিনয় করি। পরবর্তীতে ‘চোর’ সিনেমাতে আক্কাস চরিত্রটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েই অভিনয় করি। নিজেকে আক্কাসের মতো করে গড়ে তুলতে একটু সময় নিয়েছিলাম। গেটআপ, মেকাপ সবমিলিয়ে আক্কাসই যেন আমার মধ্যে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। আর অভিনয়ে কোনোরকম ছাড় দেইনি আমি। গাজী ভাইও যথেষ্ট সহযোগিতা করেছিলেন। সিনেমাটি মুক্তির পর চারিদিক থেকে আক্কাস চরিত্রটির জন্য বেশ প্রশংসা পেয়েছিলাম।

এখনো মাঝে মাঝে টিভিতে, কিংবা ইউটিউবে সিনেমাটি দেখে অনেকেই আক্কাস চরিত্রটির জন্য বেশ আবেগাপ্লুত হয়ে কথা বলেন। এটা সত্যি শুধু আক্কাসই নয়, এমন আরো অসংখ্য চরিত্র করেছি যার জন্য এখনো দর্শকের কাছ থেকে সাড়া পাচ্ছি। এদিকে এই মুহূর্তে ববিতা বেশ টেনশনে আছেন। কারণ তার একমাত্র ছেলে আছেন কানাডায়। দুই ভাই ও বোন সূচন্দা আছেন আমেরিকায়। তাদের জন্য তিনি দোয়া চেয়েছেন যেন তারা সুস্থ থাকেন, ভালো থাকেন। ববিতা বলেন, এই মুহূর্তে আল্লাহর কাছে একটি প্রার্থনাই করছি, তিনি যেন আমাদেরকে করোনা থেকে মুক্ত রাখেন, আমাদের দেশে করোনা যেন খুব বেশি প্রভাব ফেলতে না পারে। সাধারণ মানুষ যেন যথাযথভাবে তাদের সাহায্য সহযোগিতা পেয়ে বেঁচে থাকতে পারেন। আল্লাহ সবাইকে সুস্থ রাখুন, ভালো রাখুন, আমিন।



অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর