সিলেটের গোয়াইনঘাটের বিভিন্ন স্হানে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে তিনটায় তাণ্ডব চালিয়েছে কালবৈশাখী ঝড়। আকস্মিক বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার লেঙ্গুড়া,পূর্ব জাফলং,পশ্চিম জাফলং এবং আলীরগাঁও ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে হানা দিয়েছে এই কালবৈশাখী ঝড়। এতে লন্ডভন্ড হয়ে কাঁচা প্রায় ৫০ টির মত ছোট, বড় কাচা ঘরবাড়ি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ে উপড়ে পড়েছে গাছপালা। বিদ্যুতের তারসহ সঞ্চালন লাইনে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ আছে। কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে শিলা বৃষ্টি হওয়াতে কৃষককুলের রোপায়িত বুরো ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে। উপজেলা সদরের অদূরবর্তী লেঙ্গুড়া গ্রামের পিতাহারা রুবেল আহমদের কাচা ঘরটি পড়ে ফেলে কাল বৈশাখী। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে ছুটে যান গোয়াইনঘাটের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ফারুক আহমদ। এসময় তিনি দুর্গত পরিবারের লোকজনকে সান্তনা দেন এবং উপজেলার দুর্যোগ ও ব্যবস্হাপনা খাত হতে কিছু অার্থিক সহযোগীতা এবং খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ের খবরে বিভিন্ন ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি পরিদর্শনে যান গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজমুস সাকিবও। তিনি কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্হদের জনসাধারণের সাথে দেখা করে এসে এই প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে গোয়াইনঘাটের বিভিন্ন স্হানে অন্তত ৩০টির মতো কাচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে তথ্য পেয়েছি। ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশিও হতে পারে। ক্ষয়ক্ষতির শিকার মানুষের তালিকা করেছি এবং বিষয়টি স্হানীয় সাংসদ ও সরকারের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী এবং সিলেটের জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে। কালবৈশাখী ঝড়ে গোয়াইনঘাটের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজকে পাশে থেকে পর্যাপ্ত সরকারি সহযোগিতারও আশ্বাস দেন গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজমুস সাকিব।