বগুড়া থেকে বাড়িতে রেখে যাওয়ার একদিন পর জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের পৌলুঞ্জ বর্মণপাড়া গ্রামের এক তরুণ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় হাসপাতাল নেয়ার পথে মারা গেছেন। এ ঘটনায় ওই তরুণেরসহ দশটি বাড়ি লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। মারা যাওয়া ওই তরুণের নাম নির্দোষ চন্দ্র (২১)। তিনি ওই গ্রামের সুশীল চন্দ্রের ছেলে।
নিদোর্ষ চন্দ্র বগুড়া শহরের একটি ডাল প্রস্তুতের কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন বলে আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার জানিয়েছেন। কারখানায় সে অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই কারখানার লোকজন বুধবার তাকে নিজ বাড়িতে রেখে যায়
ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরাফাত রহমান বলেন, মৃত ওই তরুণ যে নয়টি বাড়ির লোকজনের সংষ্পর্শে এসেছিলেন। তরুণেরসহ দশটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা জানান, বগুড়ার একটি খাদ্য কারখানায় কর্মরত শ্রমিক নির্দোষ চন্দ্র গত ৮দিন ধরে জ¦র,সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত ছিলেন। বুধবার রাতে কারখানা কর্তৃপক্ষ অসুস্থ অবস্থায় তাকে ক্ষেতলালে তার গ্রামের বাড়িতে রেখে যায়। পরে তার ডায়রিয়া শুরু হলে হাসপাতালে নেয়ার পথে বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
পরীক্ষার জন্য তার মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর আমরা নিশ্চিত হওয়া যাবে সে করোনা আক্রান্ত ছিল কিনা। এদিকে তার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরেই স্থানীয় প্রশাসন মৃত ব্যক্তির বাড়িসহ প্রতিবেশির দশটি বাড়ি লগডাউন করেছে সেই সাথে ওই এলাকায় লোক সমাগমে নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে। ।