পবনার ফরিদপুর পৌরসভা লকডাউন করা হয়েছে। চলমান করোনার প্রার্দুভাবে সংক্রমন ঠেকাতে ফরিদপুর পৌর মেয়র কামরুজ্জামান মাজেদ মঙ্গলবার রাত থেকে পৌরসভার কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় পৌর সদরে প্রবেশের সকল সড়ক বাঁশ দিয়ে ব্যরিকেড দিয়ে দেন। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া সব ধরনের বাহন ও লোক চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে এটা কার্যকর করা হয়েছে। তবে বিশেষ প্রয়োজনে পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রবেশ বা বাহিরে যাবার অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
সরজমিনে দেখা যায়, ভাঙ্গুড়া উপজেলা থেকে ফরিদপুরে প্রবেশপথ গোডাউন মোড়, ডেমরা থেকে প্রবেশের গোপালনগড় মোড়, পাড়ফরিদপুর যবওয়ার ব্রীজ ছাড়াও ছোট বড় বিভিন্ন গলি পথে বাঁশ দিয়ে সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চলাচল বন্ধ করে রাখা হয়েছে। দেখভালের জন্য এসব পয়েন্টে পৌরসভার কর্মচারীসহ স্বেচ্ছাসেবক রাখা হয়েছে। শহরের বাহির থেকে আসা সাধারণ যানবাহন ও যাত্রীদেরকে এসব স্থান থেকে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে স্বেচ্ছাসেবকরা। তবে অতীব প্রয়োজনে সুনির্দিষ্ট কারণ দেখালে তাকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পৌর শহরের ভিতরে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার সুযোগ দেয়া হচ্ছে।
এর আগে পৌর কর্তৃপক্ষ শহরের ২০ পয়েন্টে সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেন। এছাড়া পুরো পৌর শহর নিয়মিত জীবাণুনাশ দিয়ে ধুয়ে আসছেন। নিয়মিত হ্যান্ডমাইকে করোনার বিষয়ে প্রচারনা চালচ্ছেন এবং করোন ভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেন পৌর কর্তৃপক্ষ। পৌর মেয়র কামরুজ্জামান মাজেদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নিয়মিত করোনার সচেতনতা প্রচার করে যাচ্ছেন।
ফরিদপুর পৌর শহরের বাসিন্দা মামুনুর রশিদ রুমন বলেন, পৌরবাসীদের সুস্থ রাখতে পৌর কর্তৃপক্ষের চেষ্টার ত্রুটি নেই। সাধারন জনগণ একটু সচেতন হলে আমরা এই দূ্র্যোগ দ্রুতই কাটিয়ে উঠব।
ফরিদপুর পৌর মেয়র কামরুজ্জামান মাজেদ বলেন, পৌরবাসীকে নিরাপদে রাখতে সরকারের পরামর্শ মতে সকল ধরনের ব্যবস্থা হয়েছে। আমার পৌর কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছি। পৌরসভা সম্পূর্ণ লকডাউন করা হয়েছে প্রয়োজনে আরো কঠোর হবো। তবুও ফরিদপুরবাসীকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করব।