ত্রিশ দিন আমরা রােজা রাখি। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কিছু খাইনা, পান করিনা। কিন্তু কেন খাইনা? কেনা পান করিনা? কেউ কি আমাদের হাত ধরে রাখে? নাকি বাধা দেয়? লােক ভয়ে? লােক লজ্জায়? না। এর কোনটিই নয়। কারন আমরা আল্লাহর নির্দেশ পালন করি। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের দেখছেন। তিনি অতি নিকটে। তাঁকে ফাঁকি দেয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই।
মহান আল্লাহ আমাদের প্রতিটি কথা ও কাজ অবলােকন করছেন। এভাবে আমাদের ঈমানের পরীক্ষা হয়ে যায়। আত্মা অধিকতর পরিশুদ্ধ হয়ে যায়। এভাবে এক মাসের সিয়াম সাধনার ভিতর দিয়ে আল্লাহর অস্তিত্বকে বাস্তব ও সত্য করে তুলে মানুষের জীবনে পবিত্র মাস মহে রমজান। রমজান মাসে সকল হালাল বস্তুকে দিনের বেলা রােজাদারের জন্য হারাম ঘােষণা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে স্থায়ী হারাম বস্তু থেকে সারা বছরের জন্য বাঁচার শিক্ষা অর্জন হয়। রমজানের দিনগুলোতে যেন কোন পাপ কর্ম না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। সকল দিক বিবেচনায় রমজানে বেশি বেশি করে কোরআন তেলাওয়াত করা, তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার চেষ্টা করা। বেশি বেশি করে কালেমায়ে তাইয়্যেবা পড়বাে এবং আল্লাহর দরবারে জান্নাতের প্রার্থনা করবাে। দোজখ থেকে পানাহ চাইবাে। ইসলামে সিয়াম শুধুমাত্র কতগুলো নিষেধাজ্ঞার সমষ্টি নয় যে, মানুষ পানাহার করবেনা, জৈবিক চাহিদা পূরণ করবেনা, পরনিন্দা করবে না, সন্ত্রাসী কার্যকলাপে লিপ্ত হবে না। বরং এরই সাথে আদেশাবলী নিহিত, যেমন রমজান মাস হলাে ইবাদত, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, তাসবীহ ও পারস্পরিক সহানূভুতি সংবেদনশীলতার বসন্তকাল।