মহান রাব্বুল আলামিন মানবজাতিকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে ঘোষণা করেছেন। আর এ সৃষ্টির সেরা জীব যদি তাঁর আসল মালিককে ভুলে যায়। তাঁর আদেশ নিষেধ অমান্য করে, তাহলে -তাঁর মালিক, তাঁর প্রতি শুধু অসন্তুষ্টই হন না, বরং তাঁকে শাস্তি দিতে বাধ্য হন। নবী করিম (স.) বলেন, যখন কোন গোত্রের মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা তা প্রকাশ্য করতে থাকে তাহলে তাদের মাঝে দুর্ভিক্ষ ও মহামারী ব্যাপক আকার ধারণ করে। (ইবনে মাজাহ-৪০১৯)। এ প্রসঙ্গে আল্লাহর ঘোষণা হলো -স্থলে ও জলে মানুষের কৃতকর্মের কারণে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়ে। আল্লাহ তাদের কর্মের শাস্তি আস্বাদন করতে চান। যাতে তারা সঠিক পথে ফিরে আসে।
(সূরা- রুম আয়াত -৪১)।
আল্লাহ পাক আরো বলেন, আমি তাদেরকে অভাব অনটন ও রোগ ব্যাধি দ্বারা পাকড়াও করেছিলাম। যাতে তারা আল্লাহর কাছে কাকুতি মিনতি করে। অতঃপর তাদের কাছে যখন আমার আযাব আসলো, তখন তারা কোন কাকুতি মিনতি করলো না? বস্তুত তাদের অন্তর কঠোর হয়ে গেলো। (সূরা আনআম ৪২.৪৩)।
আল্লাহ পাক আরো বলেন, লা-তাক্বনাতু মির রাহমাতিল্লাহ। তোমরা কখনো আমার রহমত থেকে নিরাশ হইও না। সুতরাং মাহে রমজানের প্রতিটি সময় কাজে লাগিয়ে আমরা আল্লাহর কঠিন আযাব করোনা ভাইরাস থেকে হেফাজতের জন্য আল্লাহর কাছে কাকুতি মিনতি করতে থাকি। অপরিসীম দয়ালু আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করে দেবেন।