অন্যান্য বারের মতো এবারের রমজানে জন জীবনে নেই কোন হাসি। নেই আনন্দ। তবে ধর্ম মন্ত্রণালয় কিছু নির্দেশনাসহ মসজিদে নামাজের অনুমতি দিয়েছে। করোনা ভাইরাস আতঙ্ক গোটা বিশ্বে। দেশে দেশে চলছে লকডাউন। সতর্কতা। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। এর থেকে বাঁচার উপায় একমাত্র আল্লাহর উপাসনা করা।
আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেন, তিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। তিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু দেন। তিনি পালনকর্তা। এতদসত্বেও কোন কোন সম্প্রদায় সন্দেহে পতিত হয়ে ক্রীড়া কৌতুক করছে। অতএব আপনি সেই দিনের অপেক্ষা করুন যখন আকাশ ধোঁয়ায় ছেয়ে যাবে, যা মানুষকে ঘিরে ফেলবে। এটা যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি। (সুরায়ে দু'খান ৮, ১২)।
আল কোরআনের আলোচ্য আয়াত সমুহে উল্লেখিত ধোঁয়া সম্পর্কে তিন প্রকার উক্তি বর্ণিত আছে। এক, কিয়ামতের অন্যতম আলামত বা কিয়ামত সন্নিকটে সংঘটিত হবে। দ্বিতীয় হলো- হযরত আলী, ইবনে আব্বাস, ইবনে ওমর, আবু হোরায়রা (রা:), হাসান বসরী (র:) প্রমুখ থেকে বর্ণিত আছে যে ভবিষ্যৎ বাণীগুলো অতীতে পূর্ণ হয়ে গেছে এবং এতে মক্কার সেই দুর্ভিক্ষ বুঝানো হয়েছে। যা মক্কাবাসীর উপর অর্পিত হয়েছিল। তারা ক্ষুধার্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছিল। এমনকি তারা মৃত জীব জন্তু খেতে বাধ্য হয়েছিল। আকাশে বৃষ্টি ও মেঘের পরিবর্তে ধোঁয়া দৃষ্টিগোচর হয়েছিল। এই উক্তি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা:) প্রমুখের। তৃতীয়ত- এখানে মক্কা বিজয়ের দিন মক্কার আকাশে উরন্ত ধুলিকনাকে ধূম্র বলা হয়েছে। এই উক্তি আবদুর রহমান ইবনে আরাজ প্রমুখের। (সূত্র: কুর্তুবী)।
আবু মালিক আশআরী থেকে বর্ণিত রাসুল (সঃ) বলেন, আমি তিন বিষয়ে সতর্ক করছি ধূম্র যা মানুষকে এক প্রকার সর্দিতে আক্রান্ত করে দিবে এবং দেহে প্রবেশ করে ধংস করে দিবে। দুই, দাব্বাতুল আরদ ভূ-গর্ভ থেকে নির্গত হবে পশু। তিন- দাজ্জাল বাহির হবে। (তাফসিরে ইবনে কাসীর।) আল্লাহ আমাদের সহায় হোন ।