হযরত আবু সাইদ (রা.) থেকে বর্ণিত- আমরা নবী করিম (সাঃ) -এর সাথে রমজানের মধ্যবর্তী দশক ইতিকাফ করেছি। যখন ২০ রমজানের সকাল হল তখন আমরা আমাদের বিছানাপত্র স্থানান্তর করলাম। অতঃপর নবী করিম (সাঃ) আমাদের নিকট আসলেন। তিনি বললেন, ইতিকাফ করেছিল সে যেন তার ইতিকাফে ফিরে যায়। কারণ আমি আজ রাতে লাইলাতুল কদর দেখেছি। আমি দেখেছি পানি ও মাটিতে সেজদা করছি। যখন তিনি তার ইতিকাফে ফিরে যান, তখন আসমান অশান্ত হল। ফলে আমাদের ওপর বৃষ্টি বর্ষিত হল।
অপর এক বর্ণনায় হযরত আবু সাইদ খুদরী (রা.) বলেন, নবী করিম (সাঃ) রমজান শরীফের মধ্যবর্তী ১০ দিন ইতিকাফ করতেন, যখন তিনি প্রস্থানরত ২০ তারিখে সন্ধ্যা করে একুশের রাতে পদার্পণ করতেন, নিজ ঘরে ফিরে যেতেন। যে তার সাথে ইতিকাফ করতেন তিনিও ফিরে যেতেন। তিনি কোনও এক রমজান মাসে যে রাতে সাধারণত ইতিকাফ থেকে ফিরে যেতেন সে রাতে ফিরে না গিয়ে কিয়াম করলেন, অতঃপর খুতবা প্রদান করলেন। আল্লাহর যা ইচ্ছা ছিল তাই তিনি লোকদের নির্দেশ করলেন। অতঃপর বললেন, আমার নিকট স্পষ্ট হল, আমি ইতিকাফ করব শেষ দশকে। যে আমার সাথে ইতিকাফ করেছে সে যেন তার ইতিকাফে বহাল থাকে। ( বোখারী শরীফ ১৯১৪)। মুসল্লির চেহারায় সেজদার সময় যে ধুলাবালি লাগে তা দূর করা উচিত নয়। বোখারী শরীফ হুমাইদি থেকে বর্ণনা করেন, মুসল্লির জন্য সুন্নত হচ্ছে সালাতে চেহারা না মোছা। (শারহুল মুসলিম ৮/৬১, শারহুল উমদা ৫/৪২৩, ইকমালুল মুয়াল্লিম ৪/১৪৮) । হযরত উমর (রা.) থেকে বর্ণিত- আল্লাহর রাসুল (সা.) আমি জাহেলি যুগে মানত করেছি এক রাত মসজিদে হারামে ইতিকাফ করব। নবী করীম (সা.) তাকে বললেন, তুমি তোমার মানত পূর্ণ করো। (বোখারী, মুসলিম)। ইতিকাফকারী ইতিকাফের জন্য মসজিদের একটা অংশ নিজেদের জন্য নির্দিষ্ট করে নিতে পারবে, যদি তাতে মুসল্লিদের কোনও সমস্যা না হয়। জায়গাটি নির্ধারণ করা চাই, মসজিদের খালি অংশে বা শেষ প্রান্তে যেন অন্যদের কষ্ট না হয় এবং নিজ ইতিকাফে নির্জনতা ও একাকীত্ব অর্জন হয়। (শারহন নববী ৮/ ৬৯)।
২০ রমজানুল করিমে আসরের পরপরই প্রত্যেক মুসল্লিরা ইতিকাফের নিয়তে মাগরিবের পরে নিজ নিজ মসজিদে বসে পড়বে। প্রত্যেক মহল্লার মসজিদে যে কেউ একজন মসজিদে ইতিকাফে বসতে হবে। নতুবা সারা মহল্লাবাসী গুনাহগার হবেন। (শামী)।