ভয়াল ভয়ঙ্কর আম্ফানের জেরে এপার বাংলায় মোট বাহাত্তর জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে পনেরোজন কলকাতার। নিহতদের অধিকাংশের মৃত্যু হয়েছে গাছ পরে, বাড়ির চাল ভেঙে অথবা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় নিহতদের পরিবারের জন্যে দু লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছেন, তিনি বাংলার দুর্বিপাকের সব ভিজ্যুয়াল দেখেছেন। এই দুর্দিনে তিনি সবরকম ভাবে বাংলার পাশে দাঁড়াবেন। কেন্দ্রীয় সরকার সব রকম সাহায্য করবে। দুর্দশা মোকাবিলায় তিনি আরও চারটি এন বি আর এফ টিম পাঠাচ্ছেন বলে জানান।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও ঠিক হয়নি। সব খবর এখনও আসেনি। কার্যত কলকাতা শহরই এখন যোগাযোগবিহীন। ইন্টারনেট নেই, কেবল টিভি সম্প্রচার বন্ধ, মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত। সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ। আম্ফান আছড়ে পড়ার পর চব্বিশ ঘণ্টা কেটে গেছে। জনজীবন এখনও স্বাভাবিক হয়নি। বহু এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। বন্ধ জল সরবরাহ ব্যবস্থা। আম্ফান চলে গেলেও নিম্নচাপের জেরে কলকাতার আকাশ কালো মেঘে ঢাকা। অনেকটা রাজ্যের ভাগ্যের মতোই।