গত সপ্তাহে পাকিস্তানের করাচিতে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে যেসব মানুষ মারা গেছেন তার মধ্যে শীর্ষ মডেল জারা আবিদ রয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। তিনি অনলাইনে নানারকম ট্রলের শিকার হচ্ছেন। অনৈতিক জীবনযাপন করতেন বলে তাকে অভিযুক্ত করা হয়। তার পোশাক ও লাইফস্টাইলের সমালোচনায় ভরে যায় তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একাউন্টগুলো। এরপরই ওইসব একাউন্ট অচল করে দেয়া হয়। ইন্সটাগ্রাম, টুইটার বা ফেসবুকের একাউন্টগুলো এখন আর দৃশ্যমান নয়। এসব একাউন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো, নাকি তার পরিবার বা বন্ধরা নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে এটা স্পষ্ট নয়। গত শুক্রবার করাচিতে আবাসিক এলাকায় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট বিধ্বস্ত হয়। এতে মোট আরোহী ছিলেন ৯৯ জন। তার মধ্যে মাত্র দু’জন জীবিত আছেন। বাকি ৯৭ জন মারা গেছেন। তার মধ্যে জারা আবিদ রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ওই ফ্লাইটে তিনি ছিলেন। তবে নিহত সবার নাম প্রকাশ করা হয় নি। প্রাথমিক রিপোর্টে তিনি বেঁচে আছেন বলে যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হচ্ছিল, তাকে ফেক নিউজ আখ্যায়িত করে তা বন্ধ করতে অনুরোধ করেছেন তার ভাই।
পাকিস্তানের রক্ষণশীল সমাজে নারীরা হবেন শালীন এবং অনেকের চোখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা অনেকের চোখে রয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। জারা আবিদ পাকিস্তারে সবচেয়ে বড় কিছু ব্রান্ডের জন্য কাজ করেছেন। এ বছর জানুয়ারিতে তিনি হাম স্টাইল এওয়ার্ডসে ‘বেস্ট ফিমেল মডেল’ বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এ পেশার শীর্ষস্থানীয় ডিজাইনাররা। এ বছরের শেষে তার অভিনেত্রী হিসেবে যাত্রা শুরুর কথা ছিল। শুক্রবারের ওই ফ্লাইটে তিনি ছিলেন, এমন খবর প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একাউন্টগুলো শত শত কমেন্টে ভরে যায়। এর বেশির ভাগেই তার যাপিত জীবনের জন্য শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে বলা হয়। তার খোলামেলা পোশাক পরা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা হয়। এর মধ্য দিয়ে তার ‘গোনাহ’ হয় এমন আচরণের উদাহরণ তুলে ধরা হয়।