করোনা পরবর্তী সময়ে বাইসাইকেল হয়ে উঠতে পারে ভারত, বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বাহন। কলকাতার একদল গবেষক মনে করেন পরিবেশ বান্ধব এই বাহন সামাজিক দূরত্ব বাড়াতে এবং সংক্রমণ রুখতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারে। বিশিষ্ট স্ট্রাকচার ইঞ্জিনিয়ারিং বিশেষজ্ঞ পার্থপ্রতিম বিশ্বাস বলেন, সাইকেল শুধু ইকো-ফ্রেন্ডলি নয়, ভারত, বাংলাদেশের মানুষের পকেটের জন্যও উপযোগী। সুতরাং অফিস অথবা নিত্য প্রয়োজন মেটানোর জন্যে সাইকেল ব্যবহার বাড়বেই। গবেষকরা একটা উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, লিলুয়ায় বাড়ি ব্যাংক কর্মী মহিলা আম্ফানের পর কোন যানবাহন না পেয়ে উনিশ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে নিজের কর্মস্থল রাসবিহারীতে আসেন। তাঁকে না জ্বালানির খরচ বহন করতে হয়েছে, না ধাক্কাধাক্কি করতে হয়েছে। চেষ্টায় এবং পরিশ্রমে তিনি কর্মস্থল পৌঁছে যান। তবে, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন করোনা পরবর্তী সময়ে কলকাতা এবং ঢাকায় আলাদা সাইকেল বে করতে হবে যেখান দিয়ে শুধু সাইকেলই যাবে।
আঠারোশো সতের সালে যখন জার্মানি সাইকেল আবিষ্কার করে তখন তারা করোনার কথা স্বপ্নেও ভাবেনি। গোটা বিশ্ব জুড়ে করোনা সংক্রমণ নিরাপদ সাইকেলকে জাতে ওঠাচ্ছে।