যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, চীনের কাছ থেকে এখন আর স্বায়ত্তশাসনে নেই হংকং। এতে শত শত কোটি ডলারের বাণিজ্য বিপন্ন হতে চলেছে। তিনি বুধবার কংগ্রেসকে এ বিষয়ে জানিয়েছেন। হংকং তার স্বায়ত্তশাসন হারানোর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার যে বিশেষ বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল তা নষ্ট হবে। এতে হংকং যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছিল তা হুমকিতে পড়বে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্যযুদ্ধ, চীনের জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে নিয়ে বিরোধ ও করোনা ভাইরাস মহামারি নিয়ে এমনিতেই সম্পর্ক উত্তেজনাকর। তার মধ্যে হংকংয়ে নতুন নিরাপত্তা আইন করছে চীন।
এর ফলে হংকং তার স্বায়ত্তশাসন হারাবে বলে উদ্বেগ চারদিকে। বলা হচ্ছে, মুক্তভাবে কথা বলার স্বাধীনতা হারাবে ওই শহরের মানুষ। জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে নতুন আইন করা হচ্ছে। এসবই হংকংকে চীনের মুঠোয় নেয়ার পদক্ষেপ। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ হচ্ছে হংকংয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, হংকংয়ের ওপর নিরাপত্তা আইন চাপিয়ে দেয়া হলে তিনি কঠোর সিদ্ধান্ত নেবেন। এখন চীন সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও কংগ্রেস এখন সিদ্ধান্ত নেবেন কি পদক্ষেপ নেয়া হবে এসবের জবাবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হংকংয়ের সঙ্গে যদি কয়েক দশকের বিশেষ বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে যুক্তরাষ্ট্র তাহলে তাদের অর্থনীতির বড় ক্ষতি হবে। এমনিতেই করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ^ অর্থনীতি ভঙ্গুর। যুক্তরাষ্ট্র এমন সিদ্ধান্ত নিলে চীনের চেয়ে হংকং বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।