প্রতিটি আইটেম ছিল পুরানো। অনেকেরই আগে দেখা। কিন্তু সবক’টিই মনে হয়েছে নতুন। কারণ আইটেমগুলি সামাজিক নানা মেসেজে ভরপুর আর বেশ উপভোগ্য। এছাড়া এগুলোর চিত্রায়ণেও ছিল দারুণ নৈপূণ্য। সর্বোপরি হানিফ সংকেতের দূর্দান্ত উপস্থাপনা ও সম্পাদনার মুন্সিয়ানায় এসব আইটেম সমৃদ্ধ এবারের ঈদের ‘ঈত্যাদি’ ছিল এককথায় অসাধারণ। ঈদ আর ঈদের ‘ইত্যাদি’ দুটি যেন একই সূত্রে গাঁথা। দীর্ঘ তিন দশক ধরে ‘ইত্যাদি’ ঈদের ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।
প্রতি ঈদেই গ্যালারি উপচে পড়া হাজার হাজার দর্শকের মুখরিত মঞ্চে হানিফ সংকেত দর্শকদের জানান ঈদ মোবারক এবং সাদর সম্ভাষণ। তবে এবার সেই চিত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম ঘটেছিল। কারণ করোনা ভাইরাস। যে অদৃশ্য ভাইরাসের কারণে সবকিছুর মতো থমকে গেছে ইত্যাদিও। তাই, পূর্ণ প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও দর্শকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার কথা ভেবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবার চিরাচরিত নিয়মে স্টেডিয়ামে ‘ইত্যাদি’ ধারণ করা হয়নি। তবে ঈদের ইত্যাদিতে যে ঐতিহ্যবাহী দৃশ্যের জন্য দর্শকরা অপেক্ষা করেন তা থেকে তারা নিরাশ হন নি। কারণ এবারের এই ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানটি সাজানো হয়েছে সম্পাদনার টেবিলে। ইতিপূর্বে প্রচারিত কয়েকটি ঈদ ইত্যাদির বেশ কয়েকটি পর্ব সংকলন করে তৈরি হয়েছে এবারের আয়োজনের নানা পর্ব। অনুষ্ঠানে উপস্থাপিত ঈদের গান ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’ এর ব্যতিক্রমী আয়োজন, তারকা শিল্পীদের অংশগ্রহণে শপিং করা নিয়ে সংগীতময় নাটিকা, ঐতিহাসিক বিভিন্ন চরিত্রের সমন্বয়ে একটি পর্ব, চমৎকার দর্শক পর্ব, নান্দনিক নাচ, দেশের গান, মামা-ভাগ্নে, নানা-নাতি পর্ব, বিদেশীদের অংশগ্রহণে চার মিনিটের সিনেমা, প্যারোডি গান, সমাজের নানা অসংগতি নিয়ে নাট্যাংশ-সব মিলিয়ে দারুণ উপভোগ্য একটি ‘ইত্যাদি’ উপহার পেয়েছেন দর্শকরা। ‘ইত্যাদি’ রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন, স্পন্সর করেছে কেয়া কস্মেটিকস্ লিমিটেড।