× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যেভাবে দ্রুত সুস্থ দোহারের করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যরা

বাংলারজমিন

নবাবগন্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
২৯ মে ২০২০, শুক্রবার

করোনা যুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে মাঠে কাজ করা ঢাকা জেলার দোহার থানার ১৬ জন পুলিশ সদস্যের করোনা শনাক্ত হয় গত ১৭ মে। আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্যের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে ১০ দিনের মধ্যে অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন আক্রান্ত পুলিশ সদস্যরা। তারা বর্তমানে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে আছেন, কয়েকদিনের মধ্যে যোগ দেবেন কর্মস্থলে।

জানা যায়, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা থেকে শুরু করে মানসিক শক্তি বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসেন বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার), ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) এবং ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন সরদার বিপিএম, পিপিএম। আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা সহ সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখেন ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান।
দোহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন ও ওসি (তদন্ত) আরাফাত হোসেন বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দোহার থানার পুলিশ সদস্যদের প্রথম পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ এসেছে। করোনা যুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রথম ধাপে ঢাকা জেলা পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখার জন্য ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন সরদার, বিপিএম, পিপিএম পর্যাপ্ত পরিমাণে সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান করেন এবং প্রতিটি ইউনিটে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সহায়ক পরামর্শ প্রদান করেন। পুলিশ সদস্যদের ইমিউনিটি সিস্টেম বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ প্রদান করেন তিনি। ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দোহার থানা পুলিশ প্রথম থেকে করোনা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সম্মুখ সাঁড়িতে থাকার কারণে দোহার থানা পুলিশের ১৬ জন সদস্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন।
আক্রান্ত হওয়ার পর ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে ১৬ জন পুলিশ সদস্যকে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল রাজারবাগ প্রেরণ করা হয়। বাংলাদেশ পুলিশের অভিভাবক, পুলিশকে মানুষের প্রথম আশ্রয়স্থল বানানোর কারিগর, বিজ্ঞানমনস্ক পুলিশ অফিসার, ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার বিষয়টি সরাসরি তত্ত্বাবধান করেন। একইসাথে মানবিক পুলিশ গড়ার কারিগর, বাংলাদেশ পুলিশের আইকন, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) চিকিৎসাধীন পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার বিষয়টি দেখভাল করা ছাড়াও আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের নিকট ঈদের শুভেচ্ছা প্রেরণ করেন।

ওসি মো. সাজ্জাদ হোসেন ও ওসি (তদন্ত) আরাফাত হোসেন বলেন, আক্রান্ত পুলিশ সদস্যগণ চিকিৎসাকালীন সময়ে ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা, সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপের ঔষধ ‘ইভেরা টুয়েলভ’ সেবন করেন। প্রথম পরীক্ষায় পাঁচদিনে ১১ জন পুলিশ সদস্যের করোনা নেগেটিভ আসে। তাছাড়া তিনি পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখেন।

দোহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন ও ওসি (তদন্ত) আরাফাত হোসেন বলেন, সবাই সম্মিলিতভাবে সব ধরণের সহযোগিতা ও প্রেরণা নিয়ে পাশে থাকার কারনে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন দোহার থানার করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যরা।

উল্লেখ্য যে, গত ১৭ মে রাতে দোহার থানার ১৬ জন পুলিশ সদস্যের করোনা সনাক্তের খবর আসে। পরদিন ১৮ মে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে ১৯ মে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজারবাগ পুলিশ লাইন হসপিটালে পাঠানো হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর