× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফেনীতে এক দিনে সর্বোচ্চ ৪৪ জন আক্রান্ত

করোনা আপডেট

ফেনী প্রতিনিধি
২৯ মে ২০২০, শুক্রবার

ফেনীতে করোনাভাইরাসে একদিনে রেকর্ড ৪৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে নোয়াখালীর আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরীক্ষাগার থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে ৪৪ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে বলে সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন জানিয়েছেন। এনিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসে ১৩৩ জন আক্রান্তের তথ্য দিল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন জানান, ফেনীতে দুই পরিবারের ১৪ জনসহ নতুন করে আরও ৪৪ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। নতুন আক্রান্ত ৪৪ জনের মধ্যে ফেনী সদর উপজেলায় ১৪ জন, দাগনভূঞায় ১৮ জন, সোনাগাজীতে ৯ জন, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়ার ১ জন করে রয়েছেন।

ফেনী সদর উপজেলায় শনাক্ত ১৪ জনের মধ্যে একজন এলজিইডি ও একজন ব্যাংক কর্মচারী। অন্যরা শহরের মাষ্টারপাড়ায় একজন, ডাক্তারপাড়ায় একজন, শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কে একজন, হাজারী রোড একজন, ধর্মপুর ইউনিয়নে একজন ও শর্শদী ইউনিয়নে একজন বাসিন্দা রয়েছে।

দাগনভূঞা উপজেলায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে একই পরিবারের ৯ জন রয়েছেন। তাঁদের বাড়ি রাজাপুর ইউনিয়নে। এছাড়া সদর ইউনিয়নের জগতপুরে ৩ জন, পূর্বচন্দ্রপুরে ৩ জন, সিন্দুরপুরে ২ জন ও একজন রাজাপুর এলাকার বাসিন্দা রয়েছে।

সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের একই পরিবারের ৫ জন রয়েছেন।ব গাদানা ইউনিয়নের কাজিরহাট এলাকায় বাবা ও তিন বছর বয়সী মেয়ের করোনা শনাক্ত হয়।


ফুলগাজী উপজেলার উত্তর দৌলতপুর সাহাপাড়া এলাকার ৫০ বছর বয়সী নারীর করোনা শনাক্ত হয়। তিনি পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছেন। ছগলনাইয়া উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের উত্তর যশপুরে একজন আক্রান্ত হয়েছেন।

সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. সরফুদ্দিন আহমেদ জানায়, বুধবার পর্যন্ত জেলায় ১৩৯৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগার জন্য চট্টগ্রামের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়। শুক্রবার পর্যন্ত ১৩০১ জনের প্রতিবেদন পেয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এদের মধ্যে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী, জনপ্রতিনিধি, সরকারী কর্মকর্তা, প্রকৌশলীসহ ৮৯ জনের পজেটিভ রিপোর্ট পেয়েছে। এদের মধ্যে সুস্থ্য হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছেন ৫০ জন।

ডা. মো. সরফুদ্দিন আহমেদ আরো জানান, আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৪৩ জন, দাগনভুঞা উপজেলায় ৩৭ জন, ছাগলনাইয়া উপজেলায় ১৬ জন, সোনাগাজী উপজেলায় ২০ জন, পরশুরাম উপজেলায় ৭ জন ও ফুলগাজী উপজেলায় ৬ জন রয়েছে। অপর চারজন পাশ্ববর্তী চট্টগ্রাম জেলার একজন, ওই জেলার মিরসরাই উপজেলা, কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ও নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার বাসিন্দা। তারা সকলে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষা করে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রেরণ করা হয়েছে। জেলার বাহিরের অপর তিনজনকে রেফার্ড করা হয়েছে। অপর আক্রান্তরা হাসপাতপালে ও বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ এপ্রিল ফেনীতে প্রথম এক যুবকের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রামন শনাক্ত হয়। এরপর দেড় মাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর