গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে রৌমারী উপজেলার নিম্নঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমির পাকা ধান নিমজ্জিত হয়েছে। উপজেলার যাদুরচর, বারবান্দা, কলাবাড়ি, ঝাউবাড়ি, দেওকুড়া, লালকুড়াসহ অন্তত ২০টি গ্রামের কৃষক হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। একদিকে করোনার ছোবল অন্যদিকে তলিয়ে যাওয়া পাকা ধান কাটতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। পাশাপাশি দেখা দিয়েছে ধান কাটার কামলা সংকট। যাদুরচরের কৃষক আলিম উদ্দিন জানান, ২ বিঘা জামিতে ইরি ধান লাগিয়েছিলাম। করোনার কারণে আয়ের পথ না থাকায় ধার দেনা করে সেচ ও সার দিয়েছি। এখন ভারি বর্ষণের ফলে সে ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
কামলা পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় কিছু কামলা আছে তারা ৬ থেকে ৮শ’ টাকা চাচ্ছে। এতো টাকা কোথায় পাবো? তাই ধান কাটতে পারছি না। ভবিষ্যতের কথা ভেবে চোখে অন্ধকার দেখছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন বলেন, এবার নানা প্রতিকূলতা থাকলেও ইরি ধানের ফলন ভাল হয়েছিল। কিন্তু শেষ মূহুর্তে এসে নি¤œাঞ্চলের প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমির ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছেন না কৃষক। ধান কাটা হারভেস্টার মেশিন সম্পর্কে তিনি বলেন, একটি কোম্পানী থেকে ২১ লাখ টাকা দামের একটি হারভেস্টার মেশিন পাঠানো হয়েছিল। ৫০ ভাগ ডিসকাউন্টে সেটার চুক্তি সম্পাদন করা সম্ভব হয়নি বলে ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছি।