কিশোরগঞ্জে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসে নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যা। সর্বশেষ শুক্রবার দুপুরে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে নতুন করে আরো ১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১৭ জন। গত ২৩শে মে জেলায় সংগৃহীত মোট ২৩৩ জনের নমুনার মধ্যে ৯টি নমুনা ইনভেলিড বা বাতিল হয়ে যায়। বাকি ২২৪টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে এই ১৭ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। আগের দিন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৩০০ জন। এদিকে বৃহস্পতিবার জেলার করিমগঞ্জে করোনা আক্রান্ত এক মোয়াজ্জিনের (৬৫) মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ জন।
এদিকে নতুন করে জেলায় ৫ জন করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন। এর আগে জেলায় সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ছিল ১৮৭ জন। ফলে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯২ জন। সুস্থতার হার শতকরা প্রায় ৬০.৫৭ ভাগ। বর্তমানে জেলায় মোট ১২৩ জন করোনা রোগী এবং ৬ জন সাসপেক্টেড বিভিন্ন হাসপাতাল ও নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন। এর মধ্যে অন্য জেলায় শনাক্তকৃত ৭ জন করোনা পজিটিভ রয়েছেন। শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে গত ২৩শে মে সংগৃহীত ২৩৩ জনের নমুনার মধ্যে ৯টি নমুনা ইনভেলিড বা বাতিল হয়েছে। বাকি ২২৪ জনের নমুনার মধ্যে ২০৫ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এছাড়া ১৯ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছে। তাদের মধ্যে দুইজন পুরনো কোভিড-১৯ পজেটিভ রয়েছেন। অর্থাৎ নতুন করে ১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া গত ২৪শে মে ভোরে ঢাকা শিশু হাসপাতালে শনাক্তকৃত ২২ মাস বয়সী কোভিড-১৯ পজেটিভ শিশু কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিকৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। ওইদিনই পাওয়া শিশুটির দ্বিতীয় নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এর আগে গত ২১শে মে বিকালে একই হাসপাতালে আইসোলেশনে থাকা হুমায়ুন সিদ্দিকী (৫৫) নামে এক করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। মারা যাওয়ার পর ওইদিনই (২১শে মে) পাওয়া তার দ্বিতীয় নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল।