লাকসাম এ প্রথম এক করোনা রোগী মৃত্যু বরণ করেছে। নিহত ব্যাক্তির নাম হেদায়েত উল্যাহ তালুকদার (৬৫) তার মৃত্যুর সংবাদ পৌছলে যাতে গ্রামের বাড়ীতে লাশ দাফন করতে না পারে সে জন্য গাছ কেটে রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়। পুলিশ গিয়ে ব্যারিকেড তুলে নেয়। প্রশাসনের উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার ভোরে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করে। নিহত হেদায়েত উল্যাহর বাড়ী মুদাফফরগঞ্জ ইউনিয়নের শ্রীয়াং গ্রামে। হেদায়েত উল্যাহ চট্রগ্রামে ডিমের ব্যাবসা করতো। চট্্রগ্রাম থেকে লাকসাম রাজঘাট তার বাড়ীতে আশে। গত ১৪ ই মে স্থানীয় প্রশাষন তার রক্তের ভিবিন্ন আলামত সংগ্রহ করে ঢাকা আইইসিডিআরে পাঠায়।১৬ই মে তার পজেটিব আসে।এর পর লাকসাম তার নিজ বাসাতে হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিল।
ডাঃ আব্দুল মতিন জানায়, মাঝখানে তার অবস্থা উন্নতি হয়েছিল। ডায়বেটিক নিয়ন্ত্র না হওয়া বৃহস্পতিবার দুপুরে তার অবস্থা অবনতি ঘটে। হাসপাতালে টি,এস,ও ডাঃ আলীর নেতৃত্বে কুমিল্লা পটিস হাসপাতালে তাকে নেওয়া হয়।আইসিওতে নেওয়ার পর সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে ইন্তেকাল করেন। তার পরিবারের ৫ জন করোনা রোগী আক্রান্ত হয়। তার মৃত্যু সংবাদ আত্বীয় স্বজনদেরকে জানালে লাশ নিতে কেউ না আসা স্থানীয় প্রশাষন লাশটি আনার উদ্যোগ নেয়। লাশটি যাতে গ্রামের বাড়ীতে না আনতে পারে সে জন্য রাস্তায় গাছ কেটে ব্যারিকেড দেয় জনগণ। পুলিশ গিয়ে ঐ সব স্থানে গাছ অফসারন করে। লাশটি বাড়ীতে যেন ডুকতে না পারে সেজন্য বাড়ীর গেইটটিও বন্ধ করে দেয়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ টিম লাশ দাফন ও সংস্কার করার জন্য ঘটনাস্থলে পৌছে। তার আত্বীয় স্বজনরা ও গ্রামবাসীর কেউ জানাযা ও লাশ দাফনে অংশগ্রহন করেনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একে এম সাইফুল আলম,উপজেলা সাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল আলী, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানাযা অংশগ্রহন করে।