× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মেসি-সুয়ারেজের সঙ্গী খুঁজতেই বার্সার খরচ ৫ হাজার কোটি টাকা

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
৩০ মে ২০২০, শনিবার

লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ আর নেইমার। তিনজন মিলে কী দারুণ এক ত্রয়ীই না গড়ে তুলেছিলেন বার্সেলোনায়। ‘এমএসএন’ নামে পরিচিতি পাওয়া সেই ত্রয়ী ব্লুগ্রানাদের একটার পর একটা ট্রফি এনে দিচ্ছিল। ২০১৭ সালে নেইমার চলে গেলেন প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে (পিএসজি)। তার শূন্যস্থান পূরণে কম চেষ্টা করেনি বার্সা। কাড়ি কাড়ি টাকা ঢেলে উসমান দেম্বেলে, ফিলিপ্পে কুটিনহো, আঁতোয়ান গ্রিজম্যানের মতো ফুটবলারকে দলে টেনেছে। কিন্তু মেসি-সুয়ারেজের সঙ্গে কেউই ছন্দ মেলাতে পারেননি। এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে মেসি-সুয়ারেজের পারফেক্ট পার্টনার খুঁজতেই শুধু বার্সা এখন পর্যন্ত ব্যয় করেছে ৫০৮ মিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় পাঁচ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা)!
নেইমার বার্সায় আসেন ২০১৩ সালে।
পরের বছর লুইস সুয়ারেজ। কিন্তু এরপর যারা এসেছেন, প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। প্রথমেই তুর্কি তারকা আরদা তুরানের কথা বলতে হয়। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে ২০১৫ সালে ৩২ মিলিয়ন পাউন্ডে তাকে দলে ভেড়ায় বার্সা। ৫৫ ম্যাচ খেলে মাত্র ১৫ গোল করতে সক্ষম হন তিনি। ২০১৭-১৮ মৌসুম তো কাটিয়েছেন বেঞ্চে বসে। এরপর পাকো আলকাসার। ভ্যালেন্সিয়া থেকে স্প্যানিয়ার্ড এই অ্যাটাকারকে কিনতে ২৭ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হয়েছিল বার্সেলোনার। ৫০ ম্যাচে ১৫ গোল করার পর তাকে ধারে খেলার জন্য জার্মানির বরুশিয়া ডর্টমুন্ডে পাঠিয়ে দেয়া হয়। তবে সেখানে গিয়ে ছন্দ খুঁজে পেয়েছেন আলকাসার।
সবচেয়ে বড় হতাশার নাম উসমান দেম্বেলে। ডর্টমুন্ড থেকে ১৩৫ মিলিয়ন পাউন্ডে এই ফরাসি উইঙ্গারকে দলে টেনেছিল কাতালান ক্লাবটি। কিন্তু নেইমারের বিকল্প হওয়ার বদলে দলের বোঝায় পরিণত হয়েছেন দেম্বেলে। ইনজুরিতেই কেটে যাচ্ছে তার মৌসুম। তিন মৌসুম মিলিয়ে মোটে ৭৪ ম্যাচ খেলতে পেরেছেন। গোল করেছেন ১৪টি।
এরপর আরো বেশি টাকা ব্যয় করে বার্সা আনলো ফিলিপ্পে কুটিনহোকে। লিভারপুলে দ্যুতি ছড়ানো এই ব্রাজিলিয়ান বার্সেলোনায় গিয়ে হারিয়ে গেলেন। ১৪২ মিলিয়ন পাউন্ড ঢেলে বার্সা তার কাছ থেকে পেল ৭৬ ম্যাচে ২১ গোল। এখন বায়ার্ন মিউনিখে ধারে খেলছেন কুটিনহো। আরেক ব্রাজিলিয়ান ম্যালকমকে ৩৭ মিলিয়ন পাউন্ডে কিনে মাত্র ২৪ ম্যাচ খেলিয়েছে বার্সেলোনা। তিনি আসলে খুব বেশি সুযোগ পাননি। এক্ষেত্রে বার্সার দায় বেশি। ২৩ বছর বয়সী ম্যালকমকে গত বছর জেনিত সেন্ট পিটার্সবার্গের কাছে বেচে দেয় বার্সা।
দেম্বেলে-কুটিনহোর ব্যয়বহুল প্রজেক্ট ব্যর্থ হওয়ার পর বার্সা লা লিগার পরীক্ষিত যোদ্ধা আঁতোয়ান গ্রিজম্যানকে গত গ্রীষ্মের দলবদলে কিনেছে। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সফল এই তারকার পেছনে ১০৮ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হয়েছে তাদের। তবে এখন পর্যন্ত ৩৭ ম্যাচে মাত্র ১৪ গোল করতে পেরেছেন গ্রিজম্যান।  মাঝখানে জেরার্ড দেউলফে (১১ মিলিয়ন পাউন্ড) ও কেভিন-প্রিন্স বোয়াটেংকে ফ্রি ট্রান্সফারে নিয়েও চেষ্টা করে দেখেছে বার্সা। দেউলফে খেলেছিলেন ১৭ ম্যাচ। প্রিন্স বোয়াটেং ৪ ম্যাচ খেলেই শেষ।
মেসি-সুয়ারেজকে দিয়ে গত দুই মৌসুমে আক্রমণভাগটা সামলে নিয়েছিল বার্সা। চলতি মৌসুমে সুয়ারেজের চোট আর গ্রিজম্যানের ছন্দহীনতায় মেসির ওপর চাপ বেড়েছে। তৃতীয় আরেকজনের অভাব খুব বোধ করছে কাতালান জায়ান্টরা। কিছুদিন আগে মার্টিন ব্রাথওয়েটকে সুয়ারেজের ব্যাকআপ হিসেবে নেয়া হয়েছে। ৩ ম্যাচ খেলে দুটি অ্যাসিস্ট করেছেন এই ডেনিশ ফুটবলার। তবে ব্রাথওয়েট স্থায়ী সমাধান নয়। আক্রমণভাগে স্থিতিশীলতা আনতে ইন্টার মিলানের লাওতারো মার্টিনেজকে চায় বার্সেলোনা। কিন্তু ইন্টার আবার মার্টিনেজকে ছাড়তে অনিচ্ছুক। আর নেইমারের বার্সেলোনা প্রত্যাবর্তনের বিষয়টিও এতটা সহয় নয়। দেখা যাক, আগামী দলবদলে কী ঘটে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর