টানা বৃষ্টি উজানের ঢল আকস্মিক ভাবে পানি বৃদ্ধি ফলে তলিয়ে যাচ্ছে পাকা ধান ক্ষেত। চোখের সামনে ধানসহ ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকের পড়েছে মাথায় হাত ঝড়ছে চোখের জল। কান্নায় ভারি হচ্ছে আকাশ বাতাস।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারীতে কয়েকদিনের টানা বর্ষণ সাথে উজান থেকে নেমে আশা পানির ঢলে তলিয়ে গেছে নিন্মাঞ্চলসাথে তলিয়ে যাচ্ছে একের এক ধান ক্ষেত। তলিয়ে গেছে হেক্টর কে হেক্টর জমি। ধান ঘরে তোলার আগ মুহুত্বে হঠাৎ পানির নিচে পাকা ধানসহ ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় দিশাহারা কৃষক। একে করোনায় দীর্ঘদিন হাত পা গুটিয়ে বসে থাকা কৃষকরা পড়েছিলেন বিপাকে তবুও আশা ছিল, ছিল ভরসা জমির ধান। কিন্তু হঠাতেই পানি বৃদ্ধির কারনে সকল স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করে দিল উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টি। শ্রমিকের অভাবে অনেকে আশা ছেড়ে দিলেও বাধ্য হয়ে অনেকে স্ত্রী সন্তান ও পরিবারের লোকজন ও চড়া মুল্যে শ্রমিক নিয়ে ধান কাঁটতে নেমে পড়েছে কোমর পানিতে।
এর উপর আকাশ মেঘলা থেমে থেমে বৃষ্টির ফলে আধাপাকা ধান কাঁটলেও তা মাড়াই করা নিয়েও চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। কৃষক মতিয়ার, আনছার, ফুলমিয়াসহ রানীগঞ্জ এলাকার কয়ার দোলা, শোল ধুগরি, মুনগি বিলের কৃষকরা বলেন করোনায় কষ্ট হলেও আশা ছিল জমির ধান কেঁটে ঘরে তুলবো দু’বেলা দু’মুঠো ভাত ভালো ভাবে খেতে পারবো কিন্তু আকস্মিক এই পানি বৃদ্ধি সব শেষ করে দিল আমাদের। তারা আরো বলেন এই ধান আমাদের সারা বছরের স্বপ্ন সব স্বপ্ন ভেঙ্গে দিল বউ বাচ্চা নিয়ে খুব চিন্তায় পড়েছি। শুধু উক্ত বিলগুলোনয় উপজেলার বেশকিছু এলাকায় হেক্টর কে হেক্টর জমি তালিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা হতাশায় পড়েছেন। চিন্তার সাগরে ভাসছেন পাট চাষিরাও। কয়ার দোলা, শোল ধুগরি, মুনগি বিলের হেক্টর কে হেক্টর জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে তা স্বীকার করে রানীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু বিএসসি বলেন হঠাৎ পানির ঢলে পাকা ধানসহ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা বড় সমস্যায় পড়েছে। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার প্রণয় কুমার বিষাণ দাস এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, কিছু ধান ক্ষেত তলিয়ে গেছে।