× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খুলনায় প্লাজমা থেরাপি নেয়া প্রথম রোগীর মৃত্যু

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
১ জুন ২০২০, সোমবার

খুলনায় করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি নেয়া প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়েছে। করোনা পজিটিভ তানভির আলম বাবুকে (৩১) চিকিৎসার পাশাপাশি গত ২৮শে মে প্লাজমা থেরাপি দেয়া হয়। তিনি খুলনার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। রোববার সকাল ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক মৃতের সব ধরনের কাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মৃত তানভীর আলম বাবু রূপসা উপজেলার  নৈহাটি ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামের মো. আলাউদ্দীনের একমাত্র ছেলে। তানভির আলম ঢাকার একটি মোবাইল সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি করতেন। গত ২৪শে মে তার করোনা পজিটিভ শনাক্ত হলে তাকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এই নিয়ে খুলনায় চারজন করোনা পজিটিভ রোগীর মৃত্যু হলো। আর এই পর্যন্ত খুলনায় ৭৬ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, ‘তানভির আলমের অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছিল। তাকে করোনার সব ধরনের চিকিৎসার পাশাপাশি প্লাজমা থেরাপি দেয়া হয়। প্লাজমা থেরাপিতে কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। কিন্তু কোনো চিকিৎসাই কাজে দিলো না। তাকে একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক (যিনি সদ্য করোনা মুক্ত হয়েছেন) প্লাজমা থেরাপি দিতে প্রয়োজনীয় রক্ত সরবরাহ করেছিলেন। মঞ্জুর আলম নামে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ওই চিকিৎসকের রক্ত থেকে প্লাজমা (রক্তরস) নিয়ে তানভিরকে দেয়া হয়েছিল।’
তিনি আরো বলেন, ‘তানভিরকে দেয়া প্লাজমার ফলাফল পেতে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ সময় ছিল। রোববার বিকাল পর্যন্ত এই পর্যবেক্ষণের সময় ছিল। কিন্তু তার আগেই সকালে মৃত্যু হলো।’
প্লাজমা থেরাপি বিষয়ে ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, প্লাজমা থেরাপির প্রক্রিয়া দুই ধাপে সম্পন্ন হয়। প্রথম ধাপে কোভিড ১৯ থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়া রোগীর (কমপক্ষে ১৪ দিন আগে সুস্থ হয়েছেন) কাছ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়। কারণ একবার করোনায় পজিটিভ হওয়া ব্যক্তি সুস্থ হলে তার শরীরে একটি করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। দ্বিতীয় ধাপে এই প্লাজমা পরীক্ষার পর যথাযথ নিয়ম মেনে সংরক্ষণ করা বা সঙ্গে সঙ্গেই করোনা পজিটিভ রোগীর শরীরে দেয়া হয়। এতে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তেও অ্যান্টিবডি চলে আসে। গুরুতর বা খারাপ অবস্থার দিকে যাওয়া রোগীদেরই প্লাজমা দিলে ভালো। রক্তের গ্রুপ অনুসারে ক্রস ম্যাচিং করে দ্রুত সংরক্ষিত প্লাজমা রোগীর দেহে প্রয়োগ করতে হয়। এতে ডোনার খোঁজার বিড়ম্বনা নেই। প্লাজমা দ্রুত সংরক্ষণ করলে অ্যান্টিবডির পরিমাণ ভালো থাকে। এটি প্রয়োগে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ জানান, তানভীর আলম বাবু করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৪শে মে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকাল ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
রূপসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন আক্তার ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান জানান, বাবুর মৃত্যুতে এলাকায় শোক নেমে এসেছে। শোকে মুহ্যমান স্ত্রী বিপাশা আলম ও বাবা-মাসহ পরিবারে সদস্যরা। গত ২৪শে মে তানভীর আলম বাবুকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনাভাইরাস ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এর আগে গত ১৭ই মে ঢাকা থেকে অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি আসেন তিনি। এ নিয়ে এ উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত তিনজনের মৃত্যু হলো। এদের মধ্যে ৫ই মে রাত সোয়া ১০টায় উপজেলার দেয়াড়া গ্রামে জরিনা বেগম (৬৫) ও ২১ এপ্রিল সন্ধ্যায় রাজাপুর গ্রামের নুর আলম ওরফে নুরুজ্জামান (৪৩) করোনাভাইরাসে খুমেক হাসপাতালে মারা যান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর