× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চিরচেনা রূপে ঢাকা

শেষের পাতা

রুদ্র মিজান
১ জুন ২০২০, সোমবার

খুলেছে সরকারি-আধা সরকারি অফিস। ট্রেন-লঞ্চ চালু হয়েছে রোববার থেকেই। আজ থেকে ঘুরবে গণপরিবহনের চাকা করোনা ঝুঁকি মাথায় নিয়ে রোববার থেকে অফিস শুরু করেছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। তবে প্রথম দিনে উপস্থিতি ছিল তুলনামুলক কম। সকালে সরকারি যানবাহন, রিকসা, সিএনজি অটো রিকসায় করে অফিসগামীদের যাতায়াত করতে দেখা যায়। মানুষের যাতায়াত বাড়ায় রাজধানী ফিরে পেতে শুরু করেছে চিরচেনা রূপ। ব্যস্ততা বেড়েছে সড়কে। কোথাও কোথাও যানজট ও দেখা গেছে।
আব্দুল্লাহপুর, বনানী, মিরপুর, শ্যামলি, ফার্মগেট, কাওরানবাজার, সেগনবাগিচা, কাকরাইল, রামপুরা, শ্যামপুর, বাবুবাজার, মতিঝিল, পল্টন, এলাকায়  দেখা গেছে মানুষের ভিড়।
কাওরানবাজার এলাকায় কথা হয় প্রাইভেট কার চালক আনিসের সঙ্গে। লকডাউনের পর পটুয়াখালীর গলাচিপার বাড়িতে ছিলেন তিনি। সরকার সব খুলে দিচ্ছে জেনে ছুটে এসেছেন শনিবার। তিনি বলেন, টাকা নেই। খাবার নেই। ধার দেনা করে চলছেন। বাধ্য হয়েই গাড়ি নিয়ে বের হয়েছেন তিনি। তার পাশে দাঁড়ানো পিকআপ চালক মামুন বলেন, সরকার যদি দুই মাসের খাওন দিতো, আমরা ঘরেই থাকতাম। মরণের ভয়তো সবারই আছে। এখন পেট বাঁচাইতে রাস্তায় নামছি। মামুন সাভার থেকে পিকআপযোগে বাসার আসবাবপত্র নিয়ে আরামবাগ যাচ্ছিলেন বলে জানান।  মালিবাগ, হাতিরপুল, ধানমন্ডি এলাকায় দেখা গেছে রিকসার ভিড়। রিকসাতেই যানজট সৃষ্টি হচ্ছিলো বিভিন্ন সড়কে। রিকসা চালকরা জানান,  দীর্ঘদিন পাড়া মহল্লার রাস্তায় রিকসা চালালেও যাত্রী মিলেনি তেমন। গত কয়েক দিন যাবত আগের মতোই যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে। সরকার সব খুলে দিচ্ছে জেনে রাস্তায় বের হচ্ছে মানুষ।
বেলা ২টায় কাকরাইল মোড়ে দেখা গেছে, সাদা পিপিই পড়া একজন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য অদূরে দাঁড়িয়ে আছেন। ইচ্ছেমতো চালকরা গাড়ি নিয়ে ছুটছেন। অন্যান্য দিনের চেয়ে রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা ছিলো বেশি। সবেচেয়ে বেশি ছিলো প্রাইভেট কার। রিকসায় চলাচল করেছেন সাধারণ মানুষ। অনেকে পায়ে হেঁটে। প্রায় সবার মুখে মাস্ক থাকলেও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেছেন খুব কমই।
চায়ের দোকান থেকে শুরু প্রায় সব ধরণের দোকান খোলা দেখা গেছে শহরে। বেলা ১টার দিকে রামপুরা এলাকায় দেখা গেছে সড়কে যান চলাচল অনেক বেশি। ফুটপাতে মানুষের ভিড়। খুলেছে বিভিন্ন দোকান। কাওরানবাজার, শান্তিনগর বাজার, হাতিরপুলের কাঁচাবাজারে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। শাহজাহানপুর থেকে রিকশায় ধানমন্ডির একটি মার্কেটে যান ব্যবসায়ী রাকিব হাসান। তিনি জানান, জরুরি প্রয়োজনে বের হয়েছেন। তার ধারণা ছিলো রাস্তায় লোকজন কম হবে। কিন্তু বাসা থেকে বের হয়ে হতভম্ব হয়েছেন তিনি। যেনো আগের ব্যস্ত নগরীর চেহারায় ফিরেছে ঢাকা।
মালিবাগ, মতিঝিল, পল্টন, বাংলামোটর, কাওরানবাজার, সেগুনবাগিচা এলাকায় দেখা   গেছে রাস্তার পাশে পাকির্ং করা সারি সারি মোটরসাইকেল। শিল্পকলার সামনে কথা হয় আলম নামে এক বাইক চালকের সঙ্গে। যাত্রবাড়ী এলাকায় থাকেন তিনি। লকডাউনের আগে মোটরসাইকেল চালিয়েই চার সদস্যের পরিবার চালাতেন। করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় দেড় মাস যাবত বাইক চালানো বন্ধ। ধার দেনা করে চলেছেন এতদিন। আর পারছেন না। তাই বাইক নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন ঈদের আগে থেকেই। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয় থাকলেও অচেনা যাত্রীদের উঠাচ্ছেন বাইকে। নিরাপদ দূরত্ব বজায় না থাকলেও যাত্রীরা উঠছেন। এসব বিষয়ে পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি সোহেল রানা বলেন, পুলিশর তৎপরতা কমেনি। সরকারি যেসব শর্ত রয়েছে তা মেনে, স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করেই সবাইকে চলতে হবে। এজন্য পুলিশ তৎপর বলে জানান তিনি। সরকারি নির্দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খুলছে। মানুষ স্বাভাবিকভাবেই রাস্তায় বাড়ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর