চিত্রনায়িকা আইরিন সুলতানা। করোনাভাইরাসের কারণে অন্য সবার মতো কাজ বন্ধ করে ঘরবন্দি হয়ে আছেন। গেল ১৭ই মার্চ থেকে তিনি ঘরে আছেন বলে জানান। দীর্ঘ অবসর সময় কাটছে কীভাবে? আইরিন বলেন, ঢাকাতে আমি আমার খালার পরিবারের সঙ্গে আছি। অবসর নিয়ে মাথায় কোনো চিন্তাই কাজ করছে না। বরংচ চিন্তা করছি কাল সুস্থ থাকতে পারবো কি না! অবসরের কথা মাথার মধ্যে যতটুকু না কাজ করছে, তার থেকে বেশি যে পরিস্থিতি চোখের সামনে দেখছি তাতে খারাপ লাগছে। আপাতত বাড়িতে বসে বিভিন্ন লাইভে অংশ নিচ্ছি। কিছু সামাজিক সচেতনতামূলক বার্তা তৈরিতে অংশ নিচ্ছি।
এর বাইরে বাসার কাজ করছি টুকটাক। নাটক, ছবি, ওয়েব সিরিজ দেখছি। বই পড়ছি, গান শুনছি। সবসময় ভালো থাকার চেষ্টা করছি। লকডাউনে কি কি কাজ বন্ধ হয়েছে আইরিনের? তার ভাষ্য, কয়েকটি প্রজেক্টের শুটিং ও ফটোশুট ছিল। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সবকিছু বাতিল হয়ে গেল। এরইমধ্যে অনন্য মামুনের পরিচালনায় ‘পার্টনার’ নামের একটা ওয়েব সিরিজে কাজ করছিলাম। সেটার তিন-চারদিনের কাজ বাকি ছিল। একটা শর্টফিল্মের কাজ ছিল। ঈদে কিছু টিভি চ্যানেলের কাজসহ আরো অনেক কাজের শিডিউল বাতিল হয়েছে। তবে সবই বেশ পজিটিভলি নিয়েছি। যা হয়েছে ভালোই হয়েছে। লকডাউন শেষ হলো। আবারো কাজগুলো করবেন? তিনি বলেন, অবশ্যই। আমি যেহেতু কাজের মানুষ, সেগুলো তো করবোই। কিন্তু যে পরিস্থিতি চলছে তা দেখে মনে হয় না, খুব তাড়াতাড়ি সবকিছু আগের মতো হবে। যদি পরিস্থিতি আগের মতো হয়, সবাই আগের মতো কাজ শুরু করে তাহলে আমিও করবো। এই গ্ল্যামারকন্যা গেল ঈদ নিয়ে বলেন, ঈদে সব সময় অনেক ব্যস্ত থাকি। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রোগ্রাম থাকে, শুটিং থাকে। কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত থাকাই হয়। ঈদের আগ অবধি প্রচুর কাজ থাকে। এবার তো মার্চের শেষের দিক থেকে একদম ঘরে বসে গেছি। এবারের রোজা ও ঈদে তেমন কিছুই ছিল না আমার কাজ। কিন্তু এটা জীবনের একটা বড় অভিজ্ঞতা হিসেবে থেকে গেল।