× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পরিস্থিতি অবনতি হলে সরকার আরো কঠোর হবে

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২ জুন ২০২০, মঙ্গলবার

জনগণের অসচেতনতা এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানায় পরিস্থিতির অবনতি হলে সরকার আরো কঠোর হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল সংসদ ভবন এলাকায় তার সরকারি বাসভবন থেকে এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে জীবন ও জীবিকার স্বার্থে আমাদের ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান বেছে নিতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগজনক পর্যায়ে থাকলেও লকডাউন শিথিল করছে। কোথাও কোথাও তুলে নিয়েছে। জীবনের পাশাপাশি জীবিকা দীর্ঘমেয়াদে বন্ধ থাকলে জীবনের গতিপথে নেমে আসবে স্তব্ধতা। অর্থনীতিও হয়ে পড়বে স্থবির। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান বেছে নিতে হবে।
অর্থ ও খাদ্য সহায়তার কারণে করোনা সংকটকালে একজন মানুষ না খেয়ে মারা যায়নি। গণপরিবহন চালু ও ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন খালি রেখে গাড়ি চালানো শুরু হয়েছে। সরকার বাস্তবতার প্রয়োজনে ভাড়া সমন্বয় করেছে এবং শর্ত সাপেক্ষে গণপরিবহন চলছে। আমি মালিকদের স্বাস্থ্যবিধি ও শর্ত মেনে গাড়ি চালানোর অনুরোধ করছি। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ ভিজিল্যান্স টিম, মোবাইল কোর্টসহ টার্মিনাল কর্তৃপক্ষকে অর্ধেক আসন খালি রাখা ও বর্ধিত ৬০ ভাগ ভাড়া এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও মাস্ক পরার বিষয়ে তদারকি করার আহ্বান জানাচ্ছি। যাত্রী সাধারণকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা অতিরিক্ত যাত্রী হবেন না। অর্ধেক আসন খালি রাখুন। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন। সংক্রমণ থেকে বাঁচুন অপরকে বাঁচান। হুড়োহুড়ি, বাড়তি যাত্রী হওয়া, স্বাস্থ্যবিধি না মানা এ সংকটকে আরো ঘনীভূত করতে পারে। মালিক- শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সংকটে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপনে অনুরোধ জানাচ্ছি। আমাদের অসচেতনতা এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানায় পরিস্থিতি যদি আরো অবনতি হয় এবং তা যদি জনস্বার্থের বিপরীতে চলে যায়, তাহলে সরকারকে বাধ্য হয়ে আবারো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংকটের শুরু থেকে সরকার সকল দপ্তর ও সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে সংক্রমণ রোধ, আক্রান্তদের চিকিৎসা, টেস্টিং ক্যাপাসিটি বৃদ্ধিসহ ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আকস্মিক এ সংকট মোকাবিলায় বিশ্বের উন্নত দেশগুলোও আজ হিমশিম খাচ্ছে। আমরা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও দিন দিন সংকট সমাধানের সক্ষমতা বৃদ্ধি করছি। গড়ে তোলা হয়েছে সুসমন্বয়। কেন্দ্র থেকে উপজেলা পর্যন্ত চিকিৎসা নেটওয়ার্ক সমন্বয় করাসহ সচেতনতা তৈরিতে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে সরকার। খাদ্য সহায়তা, আর্থিক সহায়তাসহ নানা উদ্যোগের ফলে আল্লাহর রহমতে এখন পর্যন্ত মানুষ না খেয়ে মরেনি। বিশ্বব্যাপী শেখ হাসিনা সরকারের সংকট সমাধানের সাহসী ও মানবিক প্রয়াস প্রশংসিত হচ্ছে। আর বিএনপি খুঁজে পাচ্ছে সমন্বয়হীনতা। নিজেরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে নির্লজ্জভাবে ব্যর্থ হয়ে দায়িত্বহীন বক্তব্য রাখছে। বিষোদ্গার করছে যা প্রকারান্তরে ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা ও আক্রান্তদের মনোবল নষ্ট করছে। আমি সংকটে তাদের দায়িত্বশীল রাজনৈতিক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। বিএনপি’র সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, আন্দোলন-সংগ্রাম আর নির্বাচনে ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে বিএনপি জনগণের কাছে যেতে ভয় পায়। তাই জনগণ থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে গণমাধ্যমে চর্বিত চর্বন করছে। দুর্যোগকালে অসহায় মানুষের পাশে না থেকে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ থেকে দূরে অবস্থান করে নিজেদের জনরোষ থেকে বাঁচাতে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। এটা তাদের উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার, যা মানসিক বৈকল্য ছাড়া আর কিছুই নয়। দলের নেতাদের মধ্যে সমন্বয় নেই। নিজেদের অফিসে নিজেরা আগুন দেয়। কর্মীরা নেতাকে পিটায়, যারা নিজেরা নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করতে পারে না, তারা আবার সমন্বয়ের কথা বলে? এদেশে দুর্যোগ গণমানুষের পাশে সবার আগে আওয়ামী লীগ ছুটে যায় এটাই আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে হাতের তালু দিয়ে আকাশ ঢাকার অপচেষ্টা আর মিথ্যাচার বিএনপি’র ঐতিহ্য।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর