৭ দিনের জন্য দিল্লির চারপাশে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। গতকাল সকালের দিকে তিনি এ ঘোষণা দেন। ঘোষণায় কেজরিওয়াল বলেছেন, শুধু জরুরি সেবাদানকারী এবং সরকারি পাস আছে যাদের, তারাই যাতায়াতের অনুমতি পাবেন। তিনি বলেন, সীমান্ত সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যাতে শহরের হাসপাতাল এবং মেডিকেল প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। সংক্রমণ বৃদ্ধিকে তিনি সংকট হিসেবে দেখলেও এটি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, আগামী এক সপ্তাহ দিল্লির সীমান্ত বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পরিষেবাগুলো এক্ষেত্রে ছাড় পাবে।
নাগরিকদের কাছ থেকে পরামর্শ পাওয়ার পর এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা আবারো সীমান্ত খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেব। কেজরিওয়াল বলেন, সীমান্ত খুলে দেয়ার ব্যাপারে দিল্লির বাসিন্দারা আগামী শুক্রবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপ, মেইল অথবা টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে মতামত জানাতে পারবেন। তার ভাষায়, আমরা সীমান্ত খুলে দেয়ার পর সারা দেশের মানুষ চিকিৎসার জন্য দিল্লিতে আসবেন। দিল্লির হাসপাতালগুলো বর্তমানে এখানকার বাসিন্দাদের জন্যই সংরক্ষণ করা উচিত।
উল্লেখ্য, দিল্লিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তার মধ্যে মারা গেছেন কমপক্ষে ৪৭৩ জন। রোববার দিল্লিতে ২৪ ঘণ্টায় এক হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছেন। কেজরিওয়ালের মতে, দিল্লিতে করোনা রোগীদের জন্য সাড়ে ৯ হাজার বেড রয়েছে। যদিও করোনার আগে রাজ্যে এই শয্যা ছিল মাত্র সাড়ে চার হাজার। পরবর্তীতে তা বৃদ্ধি করে ৬ হাজার ৬০০ করা হয়। করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় হাসপাতালের অবকাঠামো বৃদ্ধি করায় বর্তমানে সেই শয্যা সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়েছে। কেজরিওয়াল বলেন, আমি আপনাদের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এতটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি যে, রাজ্যে যদি আপনি অথবা আপনার পরিবারের কেউ করোনা সংক্রমিত হন তাহলে অবশ্যই একটি শয্যা পাবেন।