রাজশাহীর পুঠিয়ায় পরকীয়া প্রেমিকার সাথে শারিরিক সর্ম্পক স্থাপনের সময় স্থানীয়দের হাতে আটক হন প্রেমিক মুকুল হোসেন (৪৩)। সেখান থেকে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে প্রেমিকার দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। (মামলা নং-১০/ ৩১ মে)
গত ৩০ মে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড দিঘলকান্দি শাহপাড়া গ্রামে প্রেমিকার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে এবং পরেরদিন ৩১ মে মুকুলকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।
অভিযুক্ত প্রেমিক মুকুল হোসেন (৪৩) দিঘলকান্দি শাহপাড়া গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে। তিনি একজন ব্যবসায়ী তার একটি কিটনাশকের দোকান রয়েছে। এছাড়াও মামলার বাদী ওই নারীও একই গ্রামের জৈনক ব্যক্তির স্ত্রী (৩৬)। তারা পরস্পর একই গ্রামে বসবাস করেন।
মামলার এজাহারে ওই নারী দাবী করেন, অভিযুক্ত মুকুল হোসেন বিভিন্ন সময় তাকে প্রেম ভালোবাসার প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতো। গত ৩০ মে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তার স্বামীর অনুপস্থিতিতে বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরে তার আত্মচিৎকারে প্রতিবেশিরা বেড়িয়ে এসে মুকুলকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
তবে বানেশ্বর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য বকুল জানান, তাদের দু’জনের মধ্যে প্রায় ১ বছর ধরে পরকিয়া প্রেমের সর্ম্পক চলছিলো। সেদিন শারিরিক সর্ম্পক স্থাপনের উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে গেলে এলাকাবাসী শয়নকক্ষ থেকে তাদের দু’জনকে হাতে নাতে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) হাসমত আলী জানান, তাদের উদ্ধার করে থানায় আনার পর ভুক্তভুগি নারী বাদি হয়ে মুকুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে গত রোববার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে এবং ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরিক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে তারা দু’জনেই বিবাহিত ধারনা করা হচ্ছে তাদের মধ্যে পরকিয়া প্রেমের সর্ম্পক রয়েছে।