× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মে মাসে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা

অনলাইন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) জুন ২, ২০২০, মঙ্গলবার, ১:৪৪ পূর্বাহ্ন

করোনা মাহামারির মধ্যেও ১৫০ কোটি ৩০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। গত বছরের চেয়ে এবার আয় কম হলেও ঈদে বা মে মাসে যে রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ ১২ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা। তবে আগের বছরের মে মাসের চেয়ে আয় কমেছে ১৪ শতাংশ।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা সংকট চললেও ঈদের কারণে অনেকেই টাকা পাঠিয়েছেন। আবার যারা দেশে আসছেন, তারাাও টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছেন। কারণ, বহন করে বেশি টাকা আনা যায় না। এ জন্য কিছু আয় এসেছে। তবে সামনের দিনে প্রবাসী আয় পরিস্থিতি আরো নাজুক হয়ে পড়বে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, গত মে মাসে আয় এসেছে ১৫০ কোটি ৩০ লাখ ডলার। আর ২০১৯ সালের মে মাসে আয় এসেছিল ১৭৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
এ হিসাবে আয় কমেছে ১৪ শতাংশ। তবে পুরো অর্থবছরের হিসাবে আগের চেয়ে আয় বেড়েছে প্রায় ৮ দশমিক ৭২ শতাংশ।

জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের কারণে বেশির ভাগ দেশে লকডাউন চলছে। এর ফলে প্রবাসী অনেকের আয় বন্ধ হয়ে গেছে, আবার অনেকে দেশে ফিরে এসেছেন। যেসব দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আসে, সেসব দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রেমিট্যান্স হাউস ও ব্যাংকগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশি শ্রমিকেরাও পড়েছেন বিপদের মুখে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে থাকা শ্রমিকেরা। দেশের প্রবাসী আয় আহরণের শীর্ষ ১৫টি উৎস দেশ হলো সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), যুক্তরাষ্ট্র, কুয়েত, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার, ইতালি, বাহরাইন, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকা, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া ও জর্ডান। সম্প্রতি কিছু দেশে কড়াকড়ি শিথিল করা হয়েছে।

বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়াতে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। সে অনুযায়ী, ১লা জুলাই থেকে প্রবাসীরা প্রতি ১০০ টাকার বিপরীতে ২ টাকা প্রণোদনা পাচ্ছেন। বাজেটে এ জন্য ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। এতে প্রবাসী আয় আসা বেড়ে গিয়েছিল। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে এতে বিপর্যয় আসতে যাচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর