খুবই কঠিন এক সময় কাটাচ্ছে বাংলাদেশ। ঘরে ঘরে করোনার উপসর্গ। তীব্র অসুস্থতা নিয়েও হাসপাতালে ভর্তি হতে পারছেন না অনেকে। রোগী শনাক্তের সংখ্যাও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। রেকর্ড হচ্ছে, ভাঙছে। আজ এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ রোগী চিহ্নিত হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৯১১ জনের দেহে ভাইরাসটির সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে ৩৭ জনের।
এটিও একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা সাতশ ছাড়িয়ে গেছে। অন্যদিকে মোট শনাক্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে।
স্বাস্হ্য অধিদপ্তরের ব্রিফিং এ জানানো হয়েছে, ৫২টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১৪ হাজার ৯৫০টি । পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৭০৪টি। পরীক্ষা করা নমুনার মধ্যে ২ হাজার ৯১১ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫২ হাজার ৪৪৫ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আরো ৩৭ জনের মৃত্যু হয়। মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭০৯ জনে। ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে আরো ৫২৩ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ১২০ জন।
গত ৮ই মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয। শুরুর দিকে পরীক্ষার সংখ্যা ছিল কম, আক্রান্তের সংখ্যাও ছিল কম। এখন পরীক্ষা বেড়েছে, তবে আক্রান্তের সংখ্যার সঙ্গে হারও বেড়েছে। তবে এখনো পরীক্ষার হার কম বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি বলে মত তাদের। বিজ্ঞানী বিজন কুমার শীল মনে করেন দেশের ৩০-৪০ ভাগ মানুষ এরই মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।