নওগাঁর বদলগাছীতে করোনা উপসর্গে নিয়ে মারা যাওয়া এক এক গার্মেন্টস কর্মী নারীর মরদেহ গ্রামে প্রবেশ করতে ও কবর দিতে দেয়নি গ্রামবাসী। ফলে নিরুপায় হয়ে নাসিমা বেগম ওরফে নাসরিন(২৬) এর মরদেহ জানাজা শেষে নদীর ধারে কবর দিয়েছে পুলিশ। নাসিমা বেগম ওরফে নাসরিন বদলগাছী উপজেলার তাজপুর গ্রামের মাসুদ রানার মেয়ে। গত সোমবার সকালে এই ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছেন নওগাঁর ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মুন্জুর এ মোর্শেদ।
নওগাঁর ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মুন্জুর এ মোর্শেদ, মৃত নাসিমার স্বজন ও পুলিশ জানান, বদলগাছী উপজেলার তাজপুর গ্রামের ওরফে নাসিমা বেগম নাসরিন ঢাকার গার্মেন্টসে কাজ করতেন । ঢাকা থেকে জ্বর, সর্দি নিয়ে এসে গত ২৩ মে নওগাঁ সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি হলে রোববার তাকে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রোববার দুপুর দেড় টায় শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজে ভতির পর রাত সাড়ে ৮ টায় তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে স্থানান্তর হয়। এরপর রাত সাড়ে ৯ টায় নাসরিন ওরফে নাসিমার মৃত্যু হয়।
সোমবার রাত ৩ টায় নাসরিন ওরফে নাসিমার মরদেহ গ্রামে নিয়ে আসার সময় গ্রামবাসী মরদেহ দাফনে বাঁধা দেন। এ অবস্থায় বদলগাছী থানার এসআই আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে ছয় জন পুলিশ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গ্রামের পাশে ছোট যমুনা নদীর ধারে লাশ দাফন করেন। জানাজার নামাজ পড়ান উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের ঈমাম আইয়ুব আলী। এসআই আরিফুল ইসলাম জানান, লাশ গ্রামে আসার আগেই গ্রামবাসী লাশ ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পুলিশ গ্রাবাসীকে অনেক অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা কবর দেওয়ার জন্য কোনো জায়গা দেয়নি। এমনকি তারা বাঁশ দিয়েও কোন সহায়তা করেননি। অবশেষে বাধ্য হয়ে মরদেহটি নদীর ধারে কবর দিতে হয়েছে। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শফিক আমিন কাজল বলেন, নাসরিন বেগম জ্বর, সর্দি, শা্বসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। করোনা টেষ্টের জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে।